Print Date & Time : 18 August 2025 Monday 12:41 pm

সাবেক হুইপ আবু সাঈদের ৬২ কোম্পানির বিনিয়োগ অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, তার স্ত্রী মেহবুবা আলম ও মেয়ে নুযায়মা মাহমুদের নামে থাকা ৬২ কোম্পানির বিনিয়োগ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী
মেহবুবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আবেদনে বলা হয়েছে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি নিজ, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৮টি হিসাবে ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ ১১ হাজার ৬৭৭ টাকা জমা ও ৩২৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৩ টাকা উত্তোলন করেছেন। এটা তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করা মূলধনের তুলনার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন। সেজন্য তার বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া জরুরি।
মেহবুবা আলমের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হতে স্বামী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সহায়তায় অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২ কোটি ২২ লাখ ৩৬ হাজার ৮২৮ টাকা টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধ মামলা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া জরুরি।
এ ছাড়া তাদের মেয়ে নুযায়মা মাহমুদের সাতটি কোম্পানির ১৪ হাজার ৯৭২টি শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লেগের প্রার্থী হিসেবে জয়পুরহাট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।