নিজস্ব প্রতিবেদক : সিঙ্গাপুরে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের সম্পদ কিছুটা কমেছে। এবার দেশটির শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৪৯তম অবস্থানে নেমে এসেছেন তিনি। তবে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এবারও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের এই ব্যবসায়ী।
সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এই তালিকায় স্থান পান তিনি। বাংলাদেশের নাগরিক ৭০ বছর বয়সী আজিজ খান এক যুগের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ৪৯তম। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মেটা প্ল্যাটফর্মসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো স্যাভেরিন। তার সম্পদের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, মুহাম্মদ আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের। দুই বছরের আগের চেয়ে আজিজ খানের সম্পদ কিছুটা কমেছে। ফোবর্স জানিয়েছে, সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা রয়েছে। গ্রুপটির সব ব্যবসা বাংলাদেশে।
কয়েক বছর ধরেই মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আছেন। ২০২৩ সালের ফোর্বসের তালিকা অনুসারে মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪১তম। আর ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। সিঙ্গাপুরের জন্য করা তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান ৪৯তম হলেও ফোর্বসের করা বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় তার স্থান দেখানো হয়েছে ২৭৯০তম।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেন।
সামিটের অধীন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। মার্কিন এ সাময়িকীর তালিকায় আজিজ খানের যে পরিচিতি দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, তিনি তিন সন্তানের জনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আজিজ খান ও তার পরিবার দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন। গত মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে দুদক তার পরিবারভুক্ত সদস্যদের ১৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এসব হিসাবে জমা রয়েছে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আজিজ খান আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের ভাই।

Discussion about this post