Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 12:52 pm

সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার সতর্কীকরণ গুলি ‘উসকানি’ বলল উত্তর কোরিয়া

শেয়ার বিজ ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করায় তাদের দিকে সতর্কীকরণ গুলি ছোড়া হয়েছে। দুই কোরিয়ার মাঝের সীমান্ত এলাকায় গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনী সতর্কীকরণ গুলি ছুড়েছে বলে শনিবার অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এই গুলিকে ‘ইচ্ছাকৃত উসকানি’ আখ্যা দিয়েছে। এতে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পিয়ংইয়ং। খবর-রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে গত বছর থেকে উত্তর কোরিয়ার কাজ চলে আসার মধ্যে এই ঘটনা ঘটল। গত মঙ্গলবার উত্তর কোরীয় সেনাদের কাজ চলার সময় দক্ষিণ কোরিয়া গুলি ছোড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করার কারণেই তাদের দিকে সতর্কীকরণ গুলি ছোড়া হয়েছে।তবে উত্তর কোরিয়ার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো জং এই ঘটনাকে গুরুতর উল্লেখ করে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সিউলের সেনাবাহিনী উত্তর কোরীয় সেনাদের দিকে মেশিনগান দিয়ে ১০ রাউন্ডেরও বেশি সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুতর উসকানি, যা দক্ষিণ সীমান্ত এলাকায় বিপুলসংখ্যক সেনার একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়াকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলবে।’

সীমান্তে সিউলের সেনাদের গুলি এবং তা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ এমন সময়ে প্রকাশ্যে এলো যখন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং শনিবারই টোকিও ও ওয়াশিংটন ভ্রমণে রওনা দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সম্প্রীতি গড়ার চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো জং এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘সীমান্তে বেষ্টনী তোলায় কোনোরকম বাধা এলে উত্তর কোরিয়া সমুচিত পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

তাছাড়া ‘ভবিষ্যতে সীমান্ত এলাকায় আগাম কোনো সতর্কবার্তা উপেক্ষিত হলে যে গুরুতর পরিণতি নেমে আসবে তার জন্যও উত্তর কোরিয়া কোনো দায় নেবে না।’ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ‘নো-ম্যান্সল্যান্ড’ নামে পরিচিত অসামরিক এলাকা রয়েছে। মূলত সেই জায়গায় অনুপ্রবেশ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা বাড়ে। অসামরিক ওই এলাকার সীমান্তে কোনও বেষ্টনী নেই এবং গাছপালা, ঝোপঝাড়ের কারণে সাইনপোস্টগুলোও খুব স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে না।