নিজস্ব প্রতিবেদক : পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরও বেড়েছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। তবে ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৯টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৫৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৭৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২২০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০৪টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৯১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৮৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দরদাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ২৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
জেড ক্যাটেগরির ৯৬টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৩৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র চারটি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে ১৮টি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ১৩৫টি শেয়ার ও ইউনিট দুই লাখ ৫৯ হাজার চারবার হাতবদল হয়েছে। এর জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৭০৩ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, গতকাল পুঁজিবাজারের এই চাঙ্গাভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আগামী দিনগুলোতে বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূচক বাড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে লেনদেনেরও পরিমাণ বেড়েছে। এটি বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতেও এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে।

Discussion about this post