নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেনে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এ দিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে। এ দিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ১০১৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৭১টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ২৩৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ২৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২০৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৫১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর। একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৭১টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ৫৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে।
‘জেড’ ক্যাটেগরির ৯১টি কোম্পানি ও ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৩০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশির ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে একটি ফান্ডের ইউনিট চারটির দর বেড়েছে, বিপরীতে ১৩টি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ১৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫৬টি শেয়ার ও ইউনিট এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৮১ বার হাতবদল হয়েছে। এরই জেরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়ায় ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
লেনদেনে টাকার পরিমাণের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাইন ফুডস, শাহজিবাজার পাওয়ার, তৌফিকা ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং সোনালী পেপার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে: রহিমা ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, আইএফআইসি ব্যাংক, বিডি থাই ফুড, ফার কেমিক্যাল, এবি ব্যাংক, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারইস্ট নিটিং, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড এবং আইএসএন লিমিটেড।
দর কমার শীর্ষে রয়েছে: সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, স্যালভো কেমিক্যাল, তিতাস গ্যাস, জুট স্পিনার্স, তৌফিকা ফুড, শাইনপুকুর সিরামিক এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাজারে ক্রয়চাপ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের ফলে লেনদেনে ইতিবাচক গতি দেখা যাচ্ছে, যা সামগ্রিক বাজার স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে।
প্রিন্ট করুন





Discussion about this post