নিজস্ব প্রতিবেদক : সোনার বাজারে টানা দেড় বছরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের জুয়েলারি খাত একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি মাসে ভালোমানের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় পৌঁছানোর পর জুয়েলারি দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে ভারত ও দুবাইয়ের বাজারেও।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি মাসুদুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোনার বাজারে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও চাইলে সোনা আমদানি করে বাজারে বিক্রি করতে পারে। এতে জনগণ কিছুটা কম দামে সোনা কিনতে পারবে, বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে এবং সরকারও রাজস্ব পাবে।’
বর্তমানে দেশের ইতিহাসে সোনার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, ভালোমানের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকেরা যেমন নতুন অলংকার কিনতে আসছেন না, তেমনি পুরোনো অলংকার বিক্রিও সেভাবে বাড়েনি। তার কারণে অনেকেই মনে করছেন, সোনার দাম দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অনেকে। তবে জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ পুরোনো অলংকার বিক্রি করতে আসছেন। তারা ভালো মুনাফা পাচ্ছেন।
বিভিন্ন জটিলতার কারণে দেশে বৈধভাবে সোনা আমদানির প্রক্রিয়ায় কোনো গতি নেই। সে কারণে বিশ্ববাজার থেকে কিছুটা বেশি দামেই কিনতে হয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনা আমদানি করে বিক্রি করে। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এগিয়ে এলে সাধারণ মানুষ কিছুটা কম দামে সোনা কিনতে পারবে। সোনায় বিনিয়োগের দুয়ারও খুলবে। এমনকি জুয়েলারি ব্যবসায় স্বচ্ছতা আসবে। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনা বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব সরকারের কোষাগারে দিতে পারবে। তাই সোনার বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

Discussion about this post