নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের কাছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে একাধিক সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এই সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের দুর্গম চর এলাকার প্রায় এক লাখ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চরাঞ্চলে চোখের চিকিৎসা, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানসম্মত শিক্ষার সুযোগের ঘাটতি রয়েছে। নতুন এই প্রকল্পের আওতায় হাজারো শিশু প্রয়োজনীয় চোখের চিকিৎসা ও সহায়তা পাচ্ছে, যা তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষাগত ফল উন্নত করতে সহায়ক হচ্ছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চলের নারীরা পেলভিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন, যা তাদের শারীরিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপন ও আত্মমর্যাদা বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি এই অংশীদারিত্ব চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অব্যাহত রাখার সুযোগ সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে তাদের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘বাংলাদেশের চরাঞ্চল দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোর একটি, যেখানে মৌলিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা উত্তরাঞ্চলের দুর্গম চর এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জরুরি চোখের চিকিৎসা এবং নারীদের পেলভিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছি। এর মাধ্যমে সরাসরি ৩০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবে এবং পরোক্ষভাবে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার পাঁচটি দুর্গম চরাঞ্চলীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের লক্ষ্য শুধু সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং চরাঞ্চলের মানুষের জীবনে টেকসই ও অর্থবহ পরিবর্তন আনা। এই উদ্যোগ শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শেখার সুযোগ তৈরি করছে, নারীদের আরও সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করছে এবং চরাঞ্চলের তরুণদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে ১২০ বছরের অবদানের ধারাবাহিকতায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই কর্মসূচি ব্যাংকটির বৃহত্তর সাসটেইনেবিলিটি ও কমিউনিটি এনগেজমেন্ট উদ্যোগের অংশ, যার লক্ষ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় প্রবেশাধিকার আরও জোরদার করা।
প্রিন্ট করুন











Discussion about this post