নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন আগে বিতাড়িত করেছে। এই স্বৈরাচারের মনোজাগরণ প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই দেশ যাতে কোনো চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে না পারে, সেটিও কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা ও লক্ষ্য।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত আমরা ভার্চুয়ালি শুনব ও বলব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি তিনি গতকাল রোববার এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী মানুষের জীবনের শেষ দিনও প্রথম এবং শেষ বাংলাদেশি হওয়া
উচিতÑএটাই তার বিশ্বাস এবং আদর্শের একমাত্র পরিচয়। এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে কিন্তু আমাদের বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকস্বাধীনতার পক্ষে এবং একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অর্থাৎ দেশে একটি অ্যাকাউন্টেবল (জবাবদিহি) অবস্থা তৈরি করা একান্তই প্রয়োজন। আমরা মানুষের অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, যদি আমরা একটি অ্যাকাউন্টেবল রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হই। এটি সম্ভব মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার পর থেকে।’
যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকরা নির্ভিকচিত্তে মুক্তির কথা বলেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কবিতা ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস, যুদ্ধের ময়দানে ক্ষুধা, যন্ত্রণা আর ক্লান্তিকে পরাজিত করেছিল কবিতার প্রেরণা। নব্বইয়ের দশকজুড়ে এবং আমরা যেটা দেখেছি, গত দেড় যুগ ধরে চলে আসা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেটা সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাসিত হয়েছে, যার পরিপূর্ণতা ঘটেছে চব্বিশের সফল গণআন্দোলনে ও গণঅভ্যুত্থানে একইভাবে।’

Discussion about this post