Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 10:27 am

হামাসের ওপর ‘নরকের দরজা’ খুলে দেয়া হবে: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে তাদের ওপর ‘নরকের দরজা’ খুলে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। গত বৃহস্পতিবার সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। খবর: আনদোলু।

পোস্টে কাটজ বলেন, ‘আমরা গাজায় হামাসকে পরাজিত করার জন্য আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) পরিকল্পনা অনুমোদন করেছি, যার মধ্যে রয়েছে তীব্র গুলিবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া এবং কৌশল অবলম্বন করা। এটি একটি জটিল যুদ্ধ। আমরা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছি, যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের শর্তাবলি, সব জিম্মিকে মুক্তি এবং নিরস্ত্রীকরণ মেনে না নিলে হামাসের জন্য নরকের দরজা খুলে যাবে।’

দখলদার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি তারা একমত না হয়, তাহলে হামাসের রাজধানী গাজা সিটিরও পরিণতি রাফাহ ও বেইত হানুনের মতো হবে।’ ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক হামলায় গাজার দুটি শহর রাফাহ ও বেইত হানুন সর্ম্পূণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

হামাস বরাবরই গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের এ ধরনের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন, পরিবর্তে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং গাজা দখলের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন।

গত ৮ আগস্ট গাজা শহর দখলের নেয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় অনুমোদন করেছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার গাজা শহর দখলের পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছেন কাটজ। এরপরই পুরো গাজা দখলে অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘনবসতিপূর্ণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় নতুন সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গাজা সিটির চারপাশে ধাপে ধাপে ‘সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক’ অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যে তারা গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। এছাড়া পরিকল্পনার আওতায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হয়েছে।

নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণে ঠেলে দেয়া হবে এবং ভারী আক্রমণের পর শহরটি অবরোধ করা হবে এবং তারপর দখল করা হবে।

এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানায়। কিন্তু এসব আহ্বানকে উপেক্ষা করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।