শেয়ার বিজ ডেস্ক : পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল বের করেছে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। আজ রোববার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর শুরু হয় এই শোকের মিছিল।
চার শত বছরের পুরোনো হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব ও ধানমন্ডি হয়ে শেষ হবে। ইতোমধ্যে হোসেনি দালান এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে অংশগ্রহণকারীদের। অধিকাংশই কালো পোশাকে অংশ নিচ্ছেন, কেউবা প্রতীকী ছুরি, আলাম, পতাকা, নিশান ও বেস্তা বহন করছেন।
মিছিলে অংশ নিতে আসা এক অংশগ্রহণকারী বলেন, এ দিনটা আমাদের জন্য কষ্টের। ইমাম হাসান এবং হোসেনকে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি স্বপরিবারে শহীদ হয়েছিলেন। সেদিনটি স্মরণ করতে আমি আয়োজন করে থাকি।
তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে হোসেনি দালান ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
এদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নফল রোজা ও ইবাদতে মগ্ন রয়েছেন মুসলমানরা।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন মুফতি মাওলানা মো. মুজির উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করবেন ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে সমাজে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করার আহ্বান জানান।
তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Discussion about this post