নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাস সেপ্টেম্বরে প্রথম ১৩ দিনে এক বিলিয়ন ডলারের (১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার) রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যা প্রায় ১৫ হাজার ৯৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ১৩ দিনে ১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৬ দিন) একই সময়ের চেয়ে ১৫ কোটি ৬০ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১১৫ কোটি ডলার।
আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ১৩ দিন পর্যন্ত ৬২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৫২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৯৪ কোটি ৭০ ডলার বেশি এসেছে, যার প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর সদ্যবিদায়ী আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

Discussion about this post