Print Date & Time : 12 August 2025 Tuesday 5:00 pm

২৫০ পরিবারের বসতভিটা ফসলি জমি রক্ষার দাবি

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : জলোচ্ছ্বাস থেকে বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় ব্যতিক্রমধর্মী সংবাদ সম্মেলন করলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম লোন্দা গ্রামের মানুষ। অস্বাভাবিক জোয়ারে ডুবে যাওয়ায় কলাগাছের ভেলায় ভেসে টিয়াখালী নদীতীরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ হালিমা আয়শা। তিনি ওই গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরে তাদের বসতভিটা, ২০০ একর কৃষিজমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে এমন সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রায় ২৫০টি পরিবার টিয়াখালী নদীর তীরে জেগে ওঠা জমিতে অন্তত ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। অধিকাংশ ফসলি জমি বসতভিটা বিএস জরিপে আমাদের নামে রেকর্ড করা হয়েছে। কিছু পরিবার এখনও খাসজমিতে বসবাস করছি। নদী তীরে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় গোটা জনপদ প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। ঘরবাড়ি, উঠান, এমনকি রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে খাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তিন ফসলি কৃষিজমি থাকলেও ঠিকমতো একটি ফসল আবাদ করতে পারি না।’

আয়শা বলেন, ‘এ বছর আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বিগত ঘূর্ণিঝড় রেমালে চারদিন পর্যন্ত সব পানিতে ডুবে ছিল। ঘূর্ণিঝড় ছাড়াও অমাবস্যা-পূর্ণিমায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সব ভাসতে থাকে। এ বছর অস্বাভাবিক জোয়ার দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। যখন জোয়ারের পানিতে সব ডুবে যায়, তখন নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলায় চলাচল করতে হয়। এ জন্য বাস্তবতার চিত্র আপনাদের কাছে তুলে ধরার জন্য এই ভেলায় ভেসে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা ২৫০টি পরিবার বসতভিটাসহ কৃষিজমি রক্ষায় স্থায়ীভাবে টিয়াখালী নদীর তীর লোন্দা খেয়াঘাট থেকে খালেদ প্যাদার বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ করার আকুল আবেদন জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে যে টাকা ব্যয় হবে ওই পরিমাণ টাকার ফসল তারা জমি চাষাবাদ করে মাত্র দুই বছরে ফলন উৎপাদন করতে পারবেন; যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে জোগান দেবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑযুবক মল্লিক, শাহীন মোল্লা, রবিউল আউয়াল অন্তর, বেল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, রোকেয়া বেগম প্রমুখসহ গ্রামটির নানা বয়সের নারী-পুরুষ অংশ নেন।