শেয়ার বিজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সামরিক আগ্রাসনের মাঝেই নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র নির্দেশনা সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সহায়তা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক।
গতকাল সোমবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য ৫১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের যে অস্ত্র নির্দেশিকা সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৩,৮৪৫টি কেএমইউ-৫৫৮বি/বি জয়েন্ট ডিরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন (জেডিএএম) কিট, যা বিএলইউ-১০৯ বোমার জন্য এবং ৩,২৮০টি কেএমইউ-৫৭২ এফ/বি জেডিএএম কিট, যা এমকে-৮২ বোমার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, এই চুক্তিতে ইঞ্জিনিয়ারিং, লজিস্টিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, এই অস্ত্র বিক্রি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াবে এবং সীমানা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এই অস্ত্র সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন এর ঘোষণার সময় ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার তীব্র সামরিক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৬,৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শুধুমাত্র সোমবারই ইসরায়েলি বিমান হামলা ও কামানের গোলায় গাজার বিভিন্ন স্থানে, যার মধ্যে উদ্বাস্তুদের আশ্রয়কেন্দ্রও ছিল, কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অব্যাহত সামরিক সহায়তার জন্য ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে, কারণ গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলা চলছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Discussion about this post