রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন গতকাল বৃহস্পতিবার ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স, ডিএসই শরিয়াহ সূচক এবং বাজার মূলধনের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর রেকর্ড হয়। বাজার মূলধন ও ডিএসইএক্স সূচক ইতিপূর্বে রেকর্ড গড়লেও গতকাল এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিএসই শরীয়াহ সূচক। ঢাকার গতকালের পুঁজিবাজারে একক নেতৃত্বে ছিল গ্রামীণফোন। গ্রামীণ ফোনের প্রথম ছয় মাসের মুনাফার ভিত্তিতে ১০৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার খবরই বাজার চাঙা রাখতে মূল ভূমিকা রেখেছে। এতে আরও সহযোগিতা করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর। যেমন: চলতি বছরে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১১ মাসে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ২৬৫ কোটি ডলার, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এসব খবরই গতকাল বাজারকে অধিক গতিশীল করেছে।
গতকাল ৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করে লেনদেনে নেতৃত্ব দেয় গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা। আর সূচকের উত্থানের সিংহভাগই ছিল জিপির কারণে। এ ছাড়া বিএটিবিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জ সুরমা সূচক ইতিবাচক করতে ভূমিকা রেখেছে।
গত কিছু দিন ধরে খাতভিত্তিক লেনদেনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে বস্ত্র খাত। গতকালও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭৭ কোটি টাকা বা মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ। এরপর ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২৬ কোটি টাকা। প্রকৌশল, ব্যাংক ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় যথাক্রমে ১১২ কোটি টাকা, ১১১ কোটি ও ১০৫ কোটি টাকা করে।
গতকাল জিপির পরে লেনদেনের নেতৃত্বে থাকা কেয়া কসমেটিকসের ৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ইফাদ অটোসের ৪০ কোটি ৮৫ লাখ, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৩৩ কোটি ৪০ লাখ, জেনারেশন নেক্সট ৩১ কোটি ১২ লাখ, ডরিন পাওয়ারের ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে ছিল ফু-ওয়াং ফুড, দুলামিয়া কটন, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিডি ওয়েল্ডিং, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মডার্ন ডায়িং, সায়হাম টেক্স ও বিডিকম। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল দুর্বল মৌলভিত্তির। জেড ক্যাটাগরির দুলামিয়া কটনের দর বেড়েছে ৯.৪৭ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং ৬.৬০ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ৬.১৬ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৬.০৩ শতাংশ, মডার্ন ডায়িংয়ের ৫.৬৩ শতাংশ দর বেড়েছে।