শেয়ার বিজ ডেস্ক: শুল্ক গোয়েন্দার দল চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা কসমেটিকসের দুই কন্টেইনার জব্দ করেছে। এটির বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। পণ্যচালানটির আমদানিকারক এএম ট্রেডিং মৌলভীবাজার, ঢাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট টিএস করপোরেশন। পণ্যচালানটি খালাসের উদ্দেশে বিল অব এন্ট্রি নং: সি-১২২৮৫৯৪, তারিখ: ২০-১০-২০১৬ দাখিল করা হয়। সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য ছিল পার্টি স্প্রে। কিন্তু পাওয়া যায় উচ্চ শুল্কের ভিন্ন পণ্য। আমদানি করা পণ্যসমূহের কান্ট্রি অব অরিজিন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
গোপন সংবাদ থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পণ্যটি ডেলিভারি পর্যায়ে আটক ও শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য একটিও পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত পণ্যসমূহ হলো ডাব বিউটি ক্রিম ৪ হাজার ৩৬৫ কেজি; ২) ইম্পেরিয়াল লেদার সোপ ৫ হাজার ৪৭২ কেজি; ৩) সানসিল্ক শ্যাম্পু ১ হাজার ০৯৮ কেজি; ৪) ডাব প্যাম্পারিং লোশন ৮২১ কেজি; ৫) জিলেট শেভিং জেল ৩ হাজার ২১২ কেজি; ৬) পাম অলিভ শাওয়ার জেল ২ হাজার ৫৪০ কেজি; ৭) ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফেসওয়াশ/ক্রিম ১ হাজার ৩২৭ কেজি; ৮) ডাব বডি ওয়াশ ৬৭৮ কেজি; ৯) এক্স ডিও বডি স্প্রে ৪০৮ কেজি। আমদানি করা/কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত সব পণ্যই ঘোষণাবহির্ভূত। প্রাপ্ত পণ্যসমূহের আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা।
শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে প্রথমে শুল্ক-করাদি পরিশোধ করা হয় ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ অবস্থায় রাজস্বহানির আশঙ্কা ছিল প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ টাকা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা পণ্যচালানটি আটক করে।
এ ব্যাপারে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঠিক শুল্ক-করাদি আদায় করার জন্য কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রামের কাছে মামলা দায়ের করা হয়েছে।