নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল ও কেমিক্যাল খাতের কোম্পানি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসির একটি নতুন জমি কেনার প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৩৩২তম সভায় ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ফেনী জেলার সদর উপজেলার চারিপুর মৌজায় ১৫ শতাংশ জমি কেনার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। যার মূল্য রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়া ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, জমি ক্রয়ের এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্প্রসারণ, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন ইউনিট স্থাপন অথবা লজিস্টিক সুবিধা উন্নয়নের পরিকল্পনা থেকে করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে চট্টগ্রাম ও বরিশালে নিজস্ব ভূমিতে সেলস ডিপো স্থাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন, পাঁচলাইশ মৌজায় ৪২ দশমিক ৯০ শতাংশ ও বরিশাল সিটি করপোরেশন বিমানবন্দর থানাধীন ইছাকাটি মৌজায় ৩৪ শতাংশ জমি কেনার ঘোষণা দিয়েছিল ইবনে সিনা ফার্মা। রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়া ওই জমি দুটির মূল্য ছিল যথাক্রমে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ টাকা, আগের বছর যা ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ টাকা।
একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১১ দশমিক ৯৪ টাকা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। কোম্পানিটির কারখানা গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে অবস্থিত।
ইবনে সিনা ট্রাস্ট এই শিল্পের পৃষ্ঠপোষক, কোম্পানির ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক, প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ২৪.০৭ শতাংশ এবং জনসাধারণের বাকি ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ। ১৯৮৬ সালের মে মাসে মাত্র কয়েকটি ওষুধের ডোজ ফর্ম দিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল; যা এখন ৫৫০-এরও বেশি বেড়েছে।
বর্তমানে ইবনে সিনা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিকভাবে তার ব্যবসায়িক ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করছে এবং ইতোমধ্যে ২০টি দেশে বিভিন্ন ডোজ আকারে ১০০টিরও বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, কেনিয়া, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানে ওষুধ রপ্তানি করছে এবং আরও ১০টি রপ্তানি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Discussion about this post