নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৪৭টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর অনুরোধ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (০২ জুলাই) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
জানা গেছে, বতমানে শেয়ারবাজারের মোট ৩০৯টি ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে। এরমধ্যে ৩০১টি নিয়মিত লেনদেন পরিচালনা করছে। যার মধ্যে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৭টি, ১৫ আগস্টের মধ্যে ১০টি এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজকে এই সফটওয়্যার বাস্তবায়নের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে কমিশন।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর সময় বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৭টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফটওয়্যার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ জুন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) পক্ষ থেকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে দুই মাস সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই একই দিনে বিএসইসির কাছে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায়। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৪তম কমিশন সভায় ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
বিএসইসি বিশ্বাস করে, অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এ রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্যের সঙ্গে স্টক ব্রোকারদের কাছে থাকা তথ্যের গরমিল কমে আসবে, যা বাজারের কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।

Discussion about this post