নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, এ বছর ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে এক হাজার ১০৫ কোটি টাকা। বিভাগীয় কমিশনারদের যথাযথ তদারকি ও দিকনির্দেশনার ফলে এ বছর কর আদায়ের হার সন্তোষজনক। আগামী অর্থবছরে এ ভূমিকর আদায়ের হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে যাতে বেশি জমি অধিগ্রহণ না করা হয় সরেজমিন তা তদারকি করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ সফটওয়্যারের আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ঢাকার জেলা প্রশাসন।
পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারাদেশের ৪৮টি জেলায় ৪২৩টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১১টি জেলায় এ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বালু মহালে বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রিত ছিল। জনসেবা নিশ্চিতে অনলাইন ভূমিসেবা, ভূমি অফিস পরিদর্শনসহ অন্যান্য কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
উপষ্টো আরও বলেন, নোয়াখালী ও ভোলাসহ বেশ কিছু জেলায় নতুন নতুন চর জেগে উঠছে। এসব চর মানুষের মধ্যে আশা ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন চর জেগে ওঠা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও জীবনযাত্রার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব চর ভূমিহীনদের জন্য বসবাসযোগ্য ও গবাদিপশুর খাদ্যের আধার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবে এসব চরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি, যাতে করে ভূমিহীনদের বসবাস ও গবাদিপশুর বিচরণ নির্বিঘ্ন হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় সব বিভাগীয় কমিশনার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post