নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) চীন থেকে দুটি নতুন জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠিত দর মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত সভায় অনুমোদন করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গত ৭ আগস্ট এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে কোম্পানিটি নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) ব্যয়ে জাহাজ দুটি কিনবে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি ২০২৪-২৫ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বিএসসির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১১ দশমিক ৫ টাকা। আলোচ্য হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ দশমিক ৯৫ টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৪ দশমিক ৪৭ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৪৯ টাকা।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিএসসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৭ টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১৬ দশমিক ১৫ টাকা। ৩০ জুন, ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১০১ দশমিক ৯৭ টাকা।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ দশমিক ১৫ টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১৪ দশমিক ৮০ টাকা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ৬৭ টাকা।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৪ দশমিক ৭২ টাকা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৫২ টাকা।
সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ দশমিক ৭২ টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ২ দশমিক ৭২ টাকা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ২৮ টাকা।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০। এর ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ রয়েছে সরকারের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

Discussion about this post