প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি শাহীন খান বলেন, সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণ যাদের পাওয়া গেছে আটকদের মধ্যে তারা কেউ নেই। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান। এদিকে গতকাল শুক্রবার অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছি। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এখন তুহিনের দুই ছেলেই ছোট, আমরা গরিব পরিবার। আমার পক্ষে ওদের দেখাশোনা করা কষ্টকর।’
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহানগরীর বাসন থানাধীন ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিন নামের ওই সাংবাদিককে প্রকাশ্যে, জনসম্মুখে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিক তুহিনকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল, তার পাশেই চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ ময়দানে গতকাল তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টির পানিতে ঘটনাস্থল থেকে তুহিনের ছোপ ছোপ রক্ত মুছে গেলেও তার অকাল মৃত্যু গভীর শোকের ছাপ রেখে গেছে নিষ্পাপ দুই সন্তান ও সহকর্মীদের মনে। তার মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। আসাদুজ্জামান তুহিন (৩২) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহের কাজ করতেন।

Discussion about this post