আলী ওসমান শেফায়েত : মুসলিম শিশুদের ইসলামি জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ হলো সকালের মক্তব। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়েই পবিত্র কোরআন সহিহ করে পড়তে জানে না। শহরের মতো গ্রামাঞ্চলেও আগের মতো এখন আর কচিকাঁচা শিশুদের কোরআন শিক্ষার জন্য মক্তবে যেতে তেমন দেখা যায় না। একসময় ভোরবেলায় কায়দা, সিপারা হাতে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের দলবেঁধে মাদ্রাসায় যেতে দেখা যেত। কালিমা আর ‘আলিফ’, ‘বা’, ‘তা’, ‘ছা’-এর শব্দে মুখর হয়ে উঠত জনপদ। কালিমার উচ্চ আওয়াজে ঘুম ভাঙত শিশুদের। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিল কোরআন শুদ্ধ করে পড়তে জানে এমন মেয়েই হবে ঘরনী, যাতে করে বাড়িঘর বরকতময় হয়ে ওঠে।
প্রাথমিক পাঠশালা হিসেবে মক্তব
‘মক্তব’ একটি আরবি শব্দ, যার শাব্দিক অর্থ হলো পাঠশালা। শিশুদের কোরআন শিক্ষা এবং ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করা মুসলিমদের জন্য ফরজ। এখানে শিশুরা কোরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি নামাজ, রোজা ও অন্যান্য মাসায়েল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। পবিত্র কোরআনে নাযিলকৃত প্রথম শব্দ ‘ইকরা’, যার অর্থ ‘পড়’। পড়লেই মানুষ জানতে পারে। শোনা সাক্ষীর চেয়ে দেখা সাক্ষীর সাক্ষ্য বেশি গ্রহণযোগ্য, যেমন মামলায় ‘আই-উইটনেস’ এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
প্রাচীনকাল থেকে মসজিদ কেন্দ্রিক চলে আসছে মক্তব শিক্ষার এই কার্যধারা। অথচ ক্রমে এ মক্তব শিক্ষা হারিয়ে যেতে বসেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনসব বাস্তবতা পরিলক্ষিত হয়। আগেকার দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মক্তবের শিক্ষাদান প্রচলিত ছিল। বাড়ির ক্ষুদে শিক্ষার্থীর দল ভোরে মৌলভী সাহেবের কাছে পড়তে বসতো। তারা পবিত্র কোরআনের ছোট সুরাগুলো মুখস্ত করতো, যেমন সুরা ফাতিহা থেকে সুরা ঝিলজাল পর্যন্ত স্বল্প সময়ে অনায়াসে মুখস্ত করে ফেলত। এর পাশাপাশি কালেমা, বিভিন্ন দোয়া-দরুদ, নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত এবং নামাজে পঠিত দোয়া-দরুদ মুখস্ত করত। তারপর কায়দা, সিপারা পেরিয়ে পবিত্র কোরআন মাজিদ শুদ্ধ করে তিলাওয়াত করার নিয়মকানুন শিখে ফেলত। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সমাজের সব স্তরের ছেলেমেয়েরা ভেদাভেদ ভুলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে উঠত।
একই পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও প্রচলিত ছিল। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা বাচ্চাদেরকে পড়াতেন। এ পদ্ধতিতে শিশুকালেই তাদের মনে ধর্মীয় শিক্ষার ভিত্তি গড়ে উঠত। যদিও মসজিদে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো চালু রয়েছে, তবে অভিজ্ঞ শিক্ষককের অভাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
মক্তব শিক্ষার বিলুপ্তির কারণ
মক্তব শিক্ষার বিলুপ্তি বেশ কয়েকটি কারণে রয়েছে:
১. শিক্ষার্থীদের শিডিউল: শহর কিংবা গ্রামে কিন্ডারগার্টেন ও স্কুলের সকালের শিফটের কারণে কোমলমতি শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ক্লাস শুরু হয়ে দুপুর ২টায় ছুটি হওয়ার কারণে শিশুরা ভোরবেলায় মক্তবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। স্কুল থেকে ফেরার পর অনেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের জন্য মৌলভীর কাছে গেলেও, অনেকেই বিষয়টিকে ভুলে গিয়ে মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াই বেড়ে উঠছে।
২. অভিভাবকদের উদাসীনতা: বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের অভিভাবকদের অবহেলার কারণে মসজিদের ইমাম সাহেবরা মক্তব শিক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক অভিভাবক শিশুদের কচি মনে ইসলামি শিক্ষার পরিবর্তে বিজাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রবিষ্ট করাচ্ছেন, যা সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র ও জাতির জন্য বিপজ্জনক। তারা সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেয়াকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, বরং দুনিয়ার চাকচিক্যের দিকে ঝুঁকে ছেলেমেয়েদের দ্বীন থেকে মাহরুম করছেন।
৩. অপসংস্কৃতির প্রভাব: মোবাইল, ইউটিউব এবং টিভি চ্যানেলগুলো সবার সর্বনাশ ডেকে আনছে। গভীর রাত পর্যন্ত টিভি চ্যানেল দেখা বা রাত জেগে ইউটিউবের প্রোগ্রাম দেখার কারণে শিশু-কিশোরদের আর ফজরের নামাজে ঘুম ভাঙছে না। এমন আসক্তি এখন টিভি চ্যানেল এবং ইউটিউবের প্রতি যে, কোনো শক্তি তাদের ফেরাতে পারছে না।
৪. মক্তব পরিচালনা কমিটির গাফিলতি: অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষকদের যথোপযুক্ত সম্মান দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের বেতন-ভাতা দেয়ার ব্যাপারে কার্পণ্য করা হচ্ছে। যার কারণে বহু জায়গায় সুবাহি মক্তবগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। আবার, মুখলিস উস্তাদেরও সংকট দেখা দিয়েছে।
মক্তব শিক্ষার গুরুত্ব এবং এর অবক্ষয়ের ফল
মক্তবের শিক্ষা একজন মুসলমানের প্রাথমিক শিক্ষার পীঠস্থান। এখানে মুসলমান জাতি জীবনের শুরুতে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করে থাকে। মক্তবে কোরআন, হাদিস শিক্ষার পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগি, গোসল, নামাজ ও রোজাসহ বিভিন্ন মাসয়ালা শিক্ষা দেয়া হতো। মক্তবের শিক্ষা ব্যক্তির ব্যবহারিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মক্তবে আদব-কায়দা, শিষ্টাচার, সভ্যতা, ভদ্রতা, নম্রতা, সৌজন্যতা, বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়া হালাল, হারাম, জায়েজ, নাজায়েজ, পাক-পবিত্রতাসহ সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় জীবন ঘনিষ্ঠ সব শিক্ষা খুব সহজে দেয়া হয়।
মক্তবের প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন শেষে পরবর্তী সময়ে অন্য শিক্ষা অর্জনের পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। তাই মক্তবের শিক্ষাকে ধর্ম শিক্ষার সূতিকাগার বলা যেতে পারে। একারণে মুসলিম বিশ্বের সর্বত্রই মসজিদে মক্তবের শিক্ষার আয়োজন ছিল।
মক্তবের শিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার ফলে আজ সমাজে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। যুব সমাজের অধঃপতন বলাই বাহুল্য। সঠিকভাবে নামাজ-কালাম না শিখে বে-আমলি হলে তাদের চরিত্র ঠিক থাকবে কী করে? কারণ শিক্ষা আলোর মতো, শিক্ষাহীন মানুষ পশুসম। জন্ম থেকেই ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মক্তবে না যাওয়ায় তাদের ধর্মীয় জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ছে এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিজয়ী হচ্ছে।
আজ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হলেও, তারা কোনোভাবেই তা গ্রহণ করতে পারছে না, কারণ জন্মলগ্ন থেকেই তারা এসব জ্ঞান থেকে বঞ্চিত। ফলে আজকের শিক্ষার্থীরা, যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তারা বিভিন্ন অপকর্ম, নেশা, পর্নোগ্রাফি, ধর্ষণ, খুন, ইভটিজিং ইত্যাদি ইসলাম ও সমাজবহির্ভূত কাজ করতে পিছুপা হয় না। তাদের মাঝে ইসলামি শরিয়াহর সুন্দর শিক্ষা ও জ্ঞান না থাকার কারণেই এমনটা হচ্ছে। মুসলিম হিসেবে কী কী কাজ করতে হবে, কী করা যাবে না, এই সম্পর্কে না জানার কারণে আজ সমাজের বড় অংশ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে পা বাড়াচ্ছে।
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে আজ পাশ্চাত্য শিক্ষার নামে যে আধুনিকতা জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে, তা প্রকৃত অর্থে আধুনিকতা বা উন্নয়ন নয়, এক প্রকার অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা। অনেক পরিবারে আধুনিকতার নামে মেয়েদের রাস্তায় বের করা, অমার্জনীয় পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করা, নারী ও পুরুষের সমান অধিকার দাবি করা ইত্যাদির কারণে সমাজে অরাজকতা ও অপরাধ প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। অথচ ইসলাম মেয়েদের ছেলেদের ওপরে স্থান দিয়েছে।
মক্তবের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা
এই সমাজকে বাঁচাতে, জাতিকে বাঁচাতে সুবাহি মক্তবের বিকল্প নেই। সুস্থ সমাজ ব্যবস্থাপনা এবং সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় সুবাহি মক্তব প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। আমাদের প্রতিটি গৃহে কোরআনের আলো পৌঁছে দিতে হবে। কোরআন মানবজাতির জন্য শিক্ষাস্বরূপ। কোরআনের সুমধুর স্বরের তেলাওয়াতে মন ভরে যায় এবং মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়।
মুমিন হওয়ার জন্য আলেম হতে হবে এমন নয়। কোরআন শুদ্ধ করে পড়া, মাতৃভাষায় অর্থ বোঝার চেষ্টা করা, এর মৌলিক শিক্ষাগ্রহণ করা ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে মুমিন হওয়া যায়। আজ আমরা কোরআনের মৌলিক শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাই বিশেষ করে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। ফলস্বরূপ ধর্ষণ, ব্যভিচার, বেহায়াপনা, বেপর্দাপনা, মারামারি, মিথ্যাচার ইত্যাদি অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুসলমানদের সন্তানেরা এ ধরনের নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটাতে পারে না। শুধু নামে মুসলমান হলে চলবে না, কাজের দ্বারা মুমিনের পরিচয় দিতে হয়। নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে হবে। সর্বোপরি প্রতিটি মানুষকে কোরআনের আলোয় আলোকিত করতে হবে।
আগে এমন একটা সময় ছিল যখন মানুষ স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাক বা না যাক, মক্তবে যায়নি এমন মানুষের সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। সবাই বলতেন যে, কোথাও শিক্ষা অর্জন করি আর না করি, মক্তবে পড়েছি। এ থেকে বোঝা যায়, তখন সবাই ইসলামি দ্বীন শিক্ষায় যেত।
বর্তমান সময়ে অনেকে বলে থাকেন যে, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের বাড়িতে শিক্ষক রেখে কোরআন শিক্ষা দেন। তবে তা শুধু কোরআন শিক্ষার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে, এতে করে ইসলামি জীবন পরিচালনার বাকি বিষয়গুলো থেকে তারা বঞ্চিত হয়। প্রতিযোগিতামূলক অনুশীলন ও চর্চা না থাকার কারণে পরবর্তী জীবনে আমাদের শিশুরা কোরআন ভুলে যাচ্ছে এবং দ্বীনি বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারণে বিপথে চলে যাচ্ছে। মক্তবে তাজবিদসহ কোরআন শিক্ষার সঙ্গে দ্বীনি বিষয়ও শেখানো হয়।
সুপারিশ
হারিয়ে যাওয়া মক্তবের শিক্ষার সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা অপরিহার্য:
১. বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন: গ্রামে কিংবা শহরে সকাল ১০টায় শিশুদের ক্লাস শুরু করা প্রয়োজন, যাতে তারা সকালে মক্তবে যাওয়ার সুযোগ পায়। অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা শিশুদের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বড়দের ওপর দেয়া যেতে পারে। ভোরের সময়টুকু শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের জন্য বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
২. অভিভাবকদের সচেতনতা: অভিভাবকদের উচিত শিশুদের ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং তাদের পর্যাপ্ত ঘুম ও খেলাধুলার সুযোগ দেয়া। তাদের মনে ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৩. মক্তব পরিচালনা কমিটির সক্রিয়তা: মক্তবের শিক্ষকদের যথোপযুক্ত সম্মান ও বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা আগ্রহের সঙ্গে শিশুদের পাঠদান করেন।
৪. অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ: মোবাইল, ইউটিউব এবং টিভি চ্যানেলের অপব্যবহার থেকে শিশুদের দূরে রাখতে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
যদি মক্তবের শিক্ষার মূল্যবান সময়টুকু পুনরুদ্ধার করা না যায়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে ইমান-আকিদায় সমৃদ্ধ মুসলমান জাতি ভবিষ্যতে একটি দুর্বল জাতিতে পরিণত হবে। বর্তমান প্রজন্মকে ইসলামি বুনিয়াদি শিক্ষা দেয়া না হলে, চিরতরে হারিয়ে যাবে জাতির ভবিষ্যৎ। এই জাতি মদ, জুয়া, যিনা, ব্যভিচার ও নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে ধ্বংসের মুখে পতিত হবে।
তাই মক্তবের শিক্ষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে পুনরায় চালু রাখা সর্বমহলের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়া সমাজকে পুনর্গঠনে আমাদের কর্তব্য হলো ব্যক্তি থেকে শুরু করে সামাজিক পর্যায়ে মক্তব শিক্ষার বিষয়ে জোর দেয়া। মক্তবের শিক্ষাকে গণমুখী ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা এবং এর দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে তোলা। প্রয়োজনে আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়ে দেশের সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, ইমাম-খতিব, সাধারণ মানুষ ও সব অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মক্তবের শিক্ষার সোনালি অতীত আবারও ফিরে আসুক, এটাই কাম্য।
শিক্ষক ও মুক্ত লেখক
aliosmansefaet@gmail.com

Discussion about this post