নিজস্ব প্রতিবেদক : পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেনও অনেকটাই বেড়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরও বেড়েছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪০১ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৮টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২০৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৩৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৫৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২২০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১২২টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৭৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৮৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি ফান্ড ও কোম্পানির দরদাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ২৩টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল আটটি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
জেড ক্যাটেগরির ৯৫টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৩৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
তবে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র আটটি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে ১৭টি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১১টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ২৫ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৭টি শেয়ার ও ইউনিট দুই লাখ ২১ হাজার ১৩৫ বার হাতবদল হয়েছে। এর জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৮০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭০৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, গতকাল পুঁজিবাজারের এই তেজিভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আগামী দিনগুলোয় বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূচক বাড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে লেনদেনেরও পরিমাণ বেড়েছে। এটি বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোয়ও এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে।

Discussion about this post