নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) আড়াই লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক ব্যাংকার মামুন রশীদ।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে সূত্রে গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, মামুন রশীদ বর্তমানে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ২০২২ সালে সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি তাদের মূলধন বৃদ্ধির জন্য রাইট শেয়ার ছাড়ার উদ্যোগ নেয়।
বিএসইসির ওই নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। সেই বিধান পরিপালনে মূলধন বাড়াতে নতুন করে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় ন্যাশনাল টি।
২০২২ সাল থেকে কয়েক দফায় উদ্যোগ নিয়েও এই রাইট শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করতে না পারায় চার দফা আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৩ আগস্ট ছিল এই রাইট শেয়ারের আবেদনের শেষ সময়।
কয়েক দফা চেষ্টার পরও সাধারণ শেয়ারধারীদের দিক থেকে রাইট শেয়ার কেনার বিষয়ে পর্যাপ্ত আবেদন পাওয়া না যাওয়ায় অবিক্রীত শেয়ারের একটি বড় অংশ কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান মামুন রশীদ কেনার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
এনটিসির তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির প্রতিটি রাইট শেয়ারের দাম ১১৯ টাকা ৫৩ পয়সা। সেই অনুযায়ী মামুন রশীদের ঘোষণা দেয়া আড়াই লাখ শেয়ার কিনতে তাকে বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় তিন কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির কোনো স্বতন্ত্র পরিচালক ওই কোম্পানির শেয়ার কিনতে চাইলে সেটির আগাম ঘোষণা দিতে হয়। পাশাপাশি কোনো স্বতন্ত্র পরিচালক সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক শতাংশের বেশি শেয়ার কিনতে পারেন না। সেই নিয়ম মেনে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ন্যাশনাল টির এক শতাংশের কম শেয়ার নিজের নামে কিনছেন মামুন রশীদ। যদিও তা বাজার থেকে কিনছেন না। রাইট শেয়ারের অবিক্রীত অংশের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তিনি কিনে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মামুন রশীদ বলেন, ‘২০২২ সালে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আবেদন না পাওয়ায় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাচ্ছিল না। আমরা চাইছিলাম মূলধন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি শেষ করে আনতে। তাই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে আমিসহ আরও কয়েকজন পরিচালক এ দফায়ও অবিক্রীত শেয়ারের একটি বড় অংশ কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইন অনুযায়ী, একজন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আমরা যতটুকু শেয়ার কেনার বৈধতা রয়েছে, তার চেয়েও কম শেয়ার কিনছি। আইন মেনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানির স্বার্থে অবিক্রীত শেয়ার কিনে আমরা মূলধন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি নিষ্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

Discussion about this post