নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বসেরা ১০০ বন্দরের তালিকায় এক ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ২০২৪ সালের কনটেইনার পরিবহনসহ বিভিন্ন সূচকের পরিপ্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গত শনিবার এ তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৮তম। আগের বছর তালিকায় ৬৭তম অবস্থানে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। বাংলাদেশে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরই প্রতিবছর ১০০ বন্দরের তালিকায় স্থান পাচ্ছে। সমুদ্রপথে দেশের কনটেইনার পরিবহনের ৯৯ শতাংশ এই বন্দর দিয়ে হয়।
প্রকাশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার পরিবহন করেছে। ২০২৩ সালে পরিবহন হয়েছিল ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিইইউস। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কনটেইনার পরিবহন ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। কনটেইনার পরিবহন বাড়লেও বৈশ্বিক বন্দরগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে এ তালিকা দিয়ে বন্দরে সেবার মান বিচার করা হয় না। বিশ্বের কোন বন্দর কত কনটেইনার পরিবহন করেছে, তার তুলনা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈশ্বিক তালিকার বিষয়ে শিপিংবিষয়ক সংবাদমাধ্যমটি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানায়নি। তারা আমাদের অফিসিয়াল জানানোর পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
প্রকাশনা অনুযায়ী, শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া ১০০টি বন্দরে গত বছর ৭৪ কোটি ৩৬ লাখ একক কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এসব বন্দরে গড়ে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর। গত বছর বন্দরটি দিয়ে ৫ কোটি ১৫ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর। সিঙ্গাপুর বন্দরে গত বছর পরিবহন হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ একক কনটেইনার। সবার শেষে অর্থাৎ ১০০তম স্থানে রয়েছে চিলির সান আন্তোনিও বন্দর। এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ১৮ লাখ ইউনিট।

Discussion about this post