নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৯ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৬৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৬ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে নয় হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৮ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে ৯৭১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাজারে লেনদেন এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। লেনদেন আগের কার্যদিবসের ৭৪০ কোটি টাকা থেকে ১১.২ শতাংশ কমে ৬৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। খাতভিত্তিক লেনদেনে ওষুধ ও চিকিৎসা খাত (১৪.৮ শতাংশ) সর্বোচ্চ অবদান রাখে। এর পরে ছিল বস্ত্র (১২.৯ শতাংশ) ও ব্যাংক (১২.৯ শতাংশ) খাত।
সব খাতেই ঋণাত্মক রিটার্ন দেখা গেছে। এর মধ্যে কাগজ (-৩.৩ শতাংশ), পাট (-৩.০ শতাংশ) ও সিরামিক (-২.২ শতাংশ) খাতে আজ সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। ১৯ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে টেকনো ড্রাগস। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ওরিয়ন ইনফিউশন, এনভয় টেক্সটাইল, রবি, সোনালী পেপার, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ও ইউসিবি ব্যাংক।
?সিএসইতে মোট ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৮টি কোম্পানির, কমেছে ১২৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির।
?সিএসইতে গতকাল ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি চার লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, গতকালের পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের পতন এবং বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করেছে। আগামী দিনগুলোয় বাজারের গতিবিধি কেমন থাকে, তা দেখার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

Discussion about this post