সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ আশ্বিন ১৪৩২ | ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭
  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শেয়ার বিজ
Advertisement
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
➔ ই-পেপার
No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
No Result
View All Result
শেয়ার বিজ
No Result
View All Result

জীবনবিপন্ন রোগীর চিকিৎসায় সব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো জরুরি

Share Biz News Share Biz News
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫.১২:০২ পূর্বাহ্ণ
বিভাগ - পত্রিকা, সম্পাদকীয় ➔ প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
A A
জীবনবিপন্ন রোগীর চিকিৎসায় সব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো জরুরি
0
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Linkedin

 রেজাউল করিম খোকন : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর সামনে উদ্বিগ্ন স্বজন ও প্রিয়জনদের জটলা লেগেই থাকে রাতদিন। কেউ নিজেকে সংবরণ করে বুকে পাথর বেঁধে চুপচাপ থাকেন, কিন্তু তাদের দেখলেই অনুমান করা যায় অনেক কষ্ট, বেদনা আর দুশ্চিন্তায় বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে সেই অবর্ণনীয় কষ্ট বুকের মধ্যে চেপে রেখে কোনোভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন, কথা বলেন এবং চলাফেরা করেন। আইসিইউর ভেতর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকেন কারও বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান কিংবা স্ত্রী। কখন যে কী হয়ে যায়, ভেতর থেকে কখন কী খবর আসে—সেই দুশ্চিন্তায় তারা থাকেন। কেউ কেউ নিজেকে সংবরণ করতে পারেন না। অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফোঁস-ফোঁস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর ফুপিয়ে কাঁদেন।

এমনিতেই অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা হিসেবে বিবেচিত আইসিইউর ভেতরে সাধারণের প্রবেশাধিকার অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টা চলে এখানে। এখানে রোগীর শরীরের সঙ্গে যুক্ত নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ও নলের ছড়াছড়ি। সেই সব যন্ত্রপাতির অদ্ভুত শব্দ কানে আসে। এখানে থাকা ডাক্তার ও নার্সদের সতর্ক ব্যস্ততা চোখে পড়লেও এক ধরনের নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে থাকে।

জানা গেছে, দেশের কমপক্ষে ২২টি জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নেই। মারাত্মক অসুস্থ বা জীবনবিপন্ন এমন রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ শয্যার দরকার হয়। আইসিইউতে রোগীকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। রোগীর বিশেষ সহায়তার দরকার হয়। চিকিৎসায় বিশেষ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহূত হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি আইসিইউর নার্সদের থাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ।

দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই বিশেষায়িত সেবার খরচ তুলনামূলক কম, তাই মানুষের আগ্রহ থাকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য সবার থাকে না। আর্থিক সংকটে থাকা অনেক আত্মীয় মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে ফেরত চলে যান বাড়িতে। তেমন কিছু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার রুগ্ণ চেহারা আবারও আমাদের সামনে চলে আসে।

দেশে দুর্ঘটনা বাড়ছে, জটিল রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেইসঙ্গে আইসিইউ সেবার প্রয়োজনও বাড়ছে। কিন্তু মানুষ প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না। এই সেবা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ নেই, এমন জেলার মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, বরগুনা, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, নাটোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, ভোলা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, চুয়াডাঙ্গা ও সুনামগঞ্জ। এ ছাড়া বাগেরহাট ও মাদারীপুর জেলায় সরঞ্জাম থাকলেও আইসিইউ চালু নেই। রাজধানীর একাধিক বড় সরকারি হাসপাতালেও এই শয্যা নেই। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল) এক হাজার শয্যার হলেও সেখানে কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। জাতীয় নাক-কান-গলা হাসপাতালেও এ ধরনের কোনো শয্যা নেই।

সরকারের লক্ষ্য ছিল সব জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ চালু করা। করোনা মহামারির সময় সব জেলায় আইসিইউ চালু করা হয়েছিল। প্রায় ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল। তখনকার আইসিইউ এখন কাজে লাগাতে কোনো অসুবিধা নেই। ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সেবা চালু থাকবে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা। এতে থাকবে ৯টি অত্যাবশ্যকীয় সেবা ও চারটি ঐচ্ছিক বা বাড়তি সেবা। ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকবেন ১৩ জন ও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসক থাকবেন ৭ জন। সার্বক্ষণিক নার্স থাকবেন ১৬ জন। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন আরও ১৬ জন। কেন্দ্র চালাতে ছোট-বড় মোট ৬৩ ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম এবং ৪৯ ধরনের ওষুধ লাগবে।

আইসিইউ শয্যা আছে, এমন প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রোগীর লম্বা সারি দেখা যায়; মানুষ অপেক্ষায় থাকেন কখন একটি শয্যা খালি হবে। যারা সরকারি হাসপাতালে চেষ্টা করেও শয্যার ব্যবস্থা করতে পারেন না, তারা যান বেসরকারি হাসপাতালে। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক মালিক হাসপাতালের একটি অংশকে আইসিইউ হিসেবে ব্যবহার করেন। যথাযথ অনুমতি নিয়ে আইসিইউ সেবা দেন এমন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কম। তারা প্রতিদিনের আইসিইউ শয্যা ভাড়া নেন ১৫ হাজার টাকা। এর বাইরে থাকে চিকিৎসকের ফি, ওষুধের দাম ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয়। দিনে মোট ব্যয় হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কোনো রোগীকে যদি দুই দিন, তিন দিন বা এক সপ্তাহ আইসিইউতে থাকতে হয়, তাহলে বহু টাকা পকেট থেকে বেরিয়ে যায়। বেসরকারি হাসপাতাল যত বড়, তার আইসিইউর খরচ তত বেশি। এই ব্যয় অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। অনেকে অর্ধেক পথে চিকিৎসা বন্ধ করেন, অনেকে চিকিৎসা নেয়া থেকে বিরত থাকেন। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের (আইসিইউ) সেবা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা যেমন অত্যন্ত মর্মান্তিক, তেমনি তা আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার রুগ্নদশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও কোনো আইসিইউ শয্যা খালি না পেয়ে বলতে গেলে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান অনেকে।

সরকারের নীতিনির্ধারকেরা দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দেন, যার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুব কমই আছে। ২২টি জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই। মারাত্মক অসুস্থ ও জীবন বিপন্ন—এমন রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ দরকার হয়। বেসরকারি হাসপাতালে এ বিশেষায়িত সেবার খরচ অনেক বেশি। ফলে দরিদ্র তো বটেই, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের পক্ষে সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। যেসব সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা আছে, সেখানকার অবস্থা অনেকটা—‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট সে তরী।’ লালমনিরহাট জেলার সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা প্রয়োজন, এমন রোগী এলে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন। এ রকম ঘটনা আরও অনেক জেলাতেই ঘটে থাকে।

করোনা মহামারির সময় দেখা গেছে, দেশে আইসিইউ সমস্যা কত প্রকট। সেই সময় কোনো কোনো হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে কিছু আইসিইউ খোলা হয়েছিল। আবার আইসিইউ খুললেই হবে না, এর জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির জোগানও নিশ্চিত করতে হবে। অনেক হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। ১০ শয্যার একটি আইসিইউর জন্য ১৩ জন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক প্রয়োজন। পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া করোনা মহামারির মধ্যেই তখনকার সরকারপ্রধানের নির্দেশনা ছিল প্রতিটি জেলায় আইসিইউ সেবা চালু করার। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণে জেলায় জেলায় সেই সেবা চালু হয়নি, এটা দুর্ভাগ্যজনক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ছিল ৫৪৮টি। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে শয্যা ছিল ৩৪৮টি, অর্থাৎ মোট শয্যা ছিল ৮৯৬টি। গত দুই বছরে সরকারি হাসপাতালে আরও আইসিইউ শয্যা যুক্ত হয়েছে। ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার করে আইসিইউ চালু করা হয়েছে। একইভাবে ১৩টি জেলা হাসপাতালে ১০ শয্যা করে আইসিইউ চালু করা হয়েছে। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা এখন ১ হাজার ১২৬টি। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিরা বলছেন, বেসরকারি পর্যায়ে এমন শয্যা আছে আরও প্রায় এক হাজার।

প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে এ স্বাস্থ্যসেবা খুবই অপ্রতুল। আমরা চাই না আর কোনো অসুস্থ মানুষ আইসিইউ সেবা না পেয়ে মারা যান। যেসব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নেই, জরুরি ভিত্তিতে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। কেবল অবকাঠামো দিয়ে তো চিকিৎসা হয় না। প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর আসে, বছরের পর বছর যন্ত্রপাতি হাসপাতালে পড়ে থাকে, বসানো হয় না। বসানো হলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে কাজে লাগানো যায় না। সরকারপ্রধানের নির্দেশনা কেন উপেক্ষিত হলো, এর জন্য কারা দায়ী, সেটাও চিহ্নিত হওয়া প্রয়োজন। করোনাকালে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার যে বেহাল চিত্র বেরিয়ে এসেছিল, তা লজ্জাজনক। এ লজ্জার মাত্রা আর বাড়তে দিতে না চাইলে সরকারের উচিত সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ নেয়া। বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ কোনো ফল দেবে না।

জেলা শহরের জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ করে নতুন নতুন সংকট সৃষ্টি হয়। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজনের চিকিৎসার জন্য এখনও ভরসার জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে সরকারি এই হাসপাতাল। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আসলে তেমন উন্নয়ন ঘটেনি এখনও। যদিও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনায় নেতা-নেত্রীর বক্তৃতায় কম কথা শোনা যায় না। বিভিন্ন জনসভায় সরকারদলীয় নেতা-মন্ত্রীরা তাদের আমলে হওয়া উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েন। দেশজুড়ে কত কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন নদীর ওপর কয়টি নতুন সেতু নির্মিত হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় অগণিত প্রতিষ্ঠানের কয়টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কতটা বেড়েছে, রপ্তানি আয় কী পরিমাণে বেড়েছে আর প্রবাসী আয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে প্রভৃতি উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষও অনেকটা ক্লান্ত। এত যে উন্নয়নের বাগাড়ম্বর, সে তুলনায় দেশের মানুষের চিকিৎসা সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটেনি।

হয়তো রাজধানী শহর ঢাকায় বেশকিছু উন্নতমানের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অনেক অনেক টাকা খরচ করে মোটামুটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সুবিধা পান রোগীরা। কিন্তু এজন্য রোগীর পরিবারকে চরম মূল্য দিতে হয়। অবস্থাপন্ন, সচ্ছল ও ধনী পরিবারের হয়তো তেমনভাবে গায়ে লাগে না। কিন্তু সেই চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়। অনেক কষ্টে তিল তিল করে বানানো নারীর শখের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দিতে হয়। আবার কেউ কেউ জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বসতবাড়ি, ফ্ল্যাট পর্যন্ত বিক্রি করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা জোগাড় করেন। তবুও উন্নত চিকিৎসা করে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করে মানুষ। তবে ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোয় সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে ছুটে যায় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে যতটুকু চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কিন্তু তেমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে যদি ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন তো সংকট বলে ধরে নেয়া যায়। তখন রীতিমতো দুর্যোগ নেমে আসে সাধারণ, অসচ্ছল, দরিদ্র মানুষগুলোর ওপর। সন্তানসম্ভবা বউ-ঝি, অসুস্থ সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে এসে হতাশ হয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দুচোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করে তারা। যাদের হাতে টাকা-পয়সা আছে, সামর্থ্য রয়েছে, যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল, তারা বিকল্প হিসেবে শহরের গুটিকয়েক ক্লিনিক ও ছোট বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যায়। কারণ সন্তানসম্ভবা নারীর নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে ঘরে বসে থাকা যায় না। তখন অপেক্ষা করা চলে না। অতএব বেসরকারি ছোটখাটো ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতে হয় বাধ্য হয়েই। এছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না তাদের কাছে।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও কলাম লেখক

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

নারী নির্যাতন ও আইনের প্রয়োগ: কোথায় ঘাটতি

Next Post

হালকা প্রকৌশল খাতের প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দিন

Related Posts

ফিলিপাইনে দুর্নীতির অভিযোগে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে দুর্নীতির অভিযোগে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে ভারতকে
আন্তর্জাতিক

যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে ভারতকে

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা
আন্তর্জাতিক

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা

Next Post
হালকা প্রকৌশল খাতের প্রসারে  বিশেষ মনোযোগ দিন

হালকা প্রকৌশল খাতের প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দিন

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিপাইনে দুর্নীতির অভিযোগে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ফিলিপাইনে দুর্নীতির অভিযোগে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে ভারতকে

যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে ভারতকে

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি নিয়ে জাপানের উদ্বেগ

যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে?




 

আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 ১২৩৪৫৬
৭৮৯১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  

প্রকাশক ও সম্পাদক ✍ মীর মনিরুজ্জামান

তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৪৮

একটি শেয়ার বিজ প্রাইভেট লি. প্রতিষ্ঠান

(প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে)

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

বিএসইসি ভবন (১০ তলা) ॥ ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ॥ ☎ 01720123162, 01768438776

  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET