আধুনিক যুগে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের যেসব উদ্ভাবন মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেগুলোর প্রথমদিকে থাকবে। এগুলো বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মকাণ্ডকে এক সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারে কম্পিউটারের চেয়ে ল্যাপটপ বা মোবাইল হ্যান্ডসেট বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যম, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যাংকিং, পরিষেবার টিকিট বুকিং সর্বত্রই ইন্টারনেটের দাপট। পড়ালেখা, বিনোদন, গবেষণার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের উপযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন দেশ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাসুলভ করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমাদের দেশও কমবেশি চেষ্টা করছে, যদিও ইন্টারনেটের গতিতে আমরা একেবারে পেছনের দিকে। অবশ্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণের পাশাপাশি এর গতি বৃদ্ধিতেও মনোযোগ দিচ্ছে ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ল্যাপটপ। এটির বিক্রয়োত্তর সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। রোববার ‘গ্লোবাল ব্র্যান্ডের বিক্রয়োত্তর সেবায় নৈরাজ্য, ক্ষুব্ধ গ্রাহক’ শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে শেয়ার বিজে, তা আমাদের প্রযুক্তিপণ্যের বাজারের একটি সাধারণ বিষয় যেন। শুধু আসুস নয়, এমন কোনো ডিভাইস নেই; যেখানে গ্রাহক সমস্যায় পড়ছেন না। আমাদের প্রতিবেদক জানান, তাইওয়ানভিত্তিক ব্র্যান্ড আসুসের পিসি-ডিভাইস কিনলেও প্রত্যাশিত বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। দেশের একমাত্র পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ডের ওয়ারেন্টির নামে প্রতারণা, পণ্যের দায় এড়াতে নানা অজুহাত, দক্ষ কারিগরি সহায়তার ঘাটতি এবং গ্রাহকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এখন নিত্যকার বাস্তবতা। শেয়ার বিজ-এর অনুসন্ধানে একাধিক ভুক্তভোগীর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও ওঠে এসেছে।
আমাদের দেশে গ্রাহক পণ্য কেনার সময় সুন্দর ব্যবহার পান, প্রতিশ্রুত বিক্রয়োত্তর পরিষেবার চাইলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকার হন। অথচ পণ্য কেনার পর গ্রাহকদের দেয়া বোঝায়, যার ওয়ারেন্টি ও গ্যারান্টি, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, হোম সার্ভিস এবং গ্রাহক অভিযোগ নিষ্পত্তি সেবা গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বাড়ায়। এমন হলে গ্রাহক স্বতঃস্ফূর্তভাবে পণ্যের বিপণন করেন। ব্যবসা সূচকে দেশকে এগিয়ে রাখতে বিক্রয়োত্তর সেবায় সংশ্লিষ্ট সবাই যত্নবান হবেন বলেই প্রত্যাশা।
প্রিন্ট করুন










Discussion about this post