শেয়ার বিজ ডেস্ক : পাকিস্তান আরব সাগরের সিন্ধু উপকূলের অদূরে এক কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে; লক্ষ্য তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা। কারণ দেশটি নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
ইসলামাবাদ সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে খনন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির তেলসম্পদে আগ্রহ প্রকাশ করার পর এবং এক নতুন গবেষণায় পাকিস্তানের উপকূলীয় অববাহিকায় উল্লেখযোগ্য অনাবিষ্কৃত হাইড্রোকার্বন পাওয়ার ইঙ্গিত মেলার পর এই তৎপরতা আরও বেড়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল) এখন সিন্ধু উপকূলের সুজাওয়ালের কাছাকাছি প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড কোর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আরশাদ পালেরকার জানিয়েছেন, এই লঞ্চপ্যাড প্রায় ছয় ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, যাতে উচ্চ জোয়ারও তাদের টানা ২৪ ঘণ্টার অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত করতে না পারে।
ইসলামাবাদের এক তেল-গ্যাস সম্মেলনের ফাঁকে পালেরকার বলেন, আবুধাবির কৃত্রিম দ্বীপ ব্যবহার করে সফল খনন কার্যক্রম থেকেই তারা অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তানে এই প্রথম এমন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। পিপিএল কর্মকর্তার ভাষায়, এই দ্বীপের নির্মাণকাজ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে এবং এরপরই কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি দ্বীপটিতে প্রায় ২৫টি কূপ খননের পরিকল্পনা করছে।
এই খবর এমন সময়ে সামনে এলো, যার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তান স্থানীয় ও বৈদেশিক কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত চারটি কনসোর্টিয়ামকে ২৩টি অফশোর অনুসন্ধান ব্লক দিয়েছে। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় ৩১ অক্টোবর জানিয়েছে, প্রায় দুই দশক পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বিডিং রাউন্ডে ৪০টি অফশোর ব্লকের মধ্যে ২৩টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যেগুলোর মোট আয়তন আনুমানিক ৫৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার।
এরও আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তার সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় দুই দেশ মিলে ইসলামাবাদের ‘বিশাল তেলসম্পদ’ উন্নয়ন করবে। ট্রাম্প তখন ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, ‘আমরা সেই তেল কোম্পানিকে বেছে নেয়ার প্রক্রিয়ায় আছি, যে এই অংশীদারত্বের নেতৃত্ব দেবে।’
প্রিন্ট করুন




Discussion about this post