নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে ডিএসইর মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কোম্পানির প্রসপেক্টাসগুলো গভীরভাবে দেখভালের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নতুন করে এক্সপার্ট প্যানেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্সপার্ট প্যানেলের প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হলেই নতুন করে আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কমিশন।
ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোনো প্রসপেক্টাসে অসংগতি বা সন্দেহজনক তথ্য পেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ডিএসই তদন্ত করতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতির সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ, খোন্দকার কামালুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, সাইফুর রহমান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম-সহ ডিএসইর চার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, শরীফ আতাউর রহমান, মিনহাজ মান্নান ইমন, মো. হানিফ ভূইয়া ও স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক মাসুদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকারেস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. শাকিল রিজভী।
বৈঠকে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে ডিএসই’র পরিচালকবৃন্দ ও ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ পরিস্থিতিতে কমিশন বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিএসইসি ও ডিএসই একযোগে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, কমিশনের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে বাজার আস্থা ফিরে পাবে। বাজারে এখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুধু হাহাকার এবং বাজারে অব্যাহত পতনে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ওপর চূড়ান্তভাবে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সর্বোপরি বাজারে সার্বিক বিষয় সম্পর্কে বিএসইসিকে অবহিত করেছি। কমিশন এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে।
এদিকে নতুন আইপিও ও রাইট শেয়ার অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বেশ কয়েকজন পরিচালক কমিশনকে জানান, আইপিও’র কর্মকাণ্ড কিছুসংখ্যক ইস্যু ম্যানেজার ও অডিট ফার্মের বৃত্তে আটকে আছে, যা বাজারের জন্য সুস্থ লক্ষণ নয়। বর্তমানে পঞ্চাশেরও অধিক মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ৩৭টি নিবন্ধিত অডিট ফার্ম থাকা সত্ত্বেও হাতেগোনা কয়েকটি ফার্মই আইপিও’র কাজ করছে।
এর উত্তরে কমিশন জানায়, নিবন্ধিত থাকা সত্ত্বেও যারা আইপিও আনতে পারছে না, তাদের সতর্ক করা হবে, প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন অডিট ফার্মের ওয়ার্কিং পার্টনারের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে।