সাপ্তাহিক বাজার

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির শেয়ারদর ১৭ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। এ দিন ৩ লাখ ২১ হাজার ৮১৫টি শেয়ার ৫৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ টাকা থেকে ২২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৩০ কোটি ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ১০৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ এবং বাকি ৪৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ১৪ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২১ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ২ টাকা ৪২ পয়সা (লোকসান) ছিল।

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ, ফার কেমিক্যালস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।