শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, নাটোর: ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ নাটোর শহরবাসী। অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে হাঁটাচলায় বিঘ্নসহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। প্রায় আট হাজার অটোরিকশা নাটোর শহরের অলিগলিতে পর্যন্ত চলছে। পৌরসভা, বিআরটিএ বা জেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। সঙ্গে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীর। খবর পরিবর্তন ডটকম।
নাটোরের শিক্ষাবিদ অলোক মৈত্র জানান, নাটোর একটি ছোট শহর। এ শহরে অটোর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। সেজন্য ছায়াবাণী মোড় থেকে স্টেশন বাজার পর্যন্ত চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও বিআরটিএ সুপরিকল্পিতভাবে যদি বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে জনদুর্ভোগ কমে আসত, অটোচালকদেরও উপকার হতো।
শংকর কুমার দাস জানান, মাত্রাতিরিক্ত অটোর কারণে চলাচলে ব্যাপক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অটোর কারণে অনেক সময় হাসপাতালগামী রোগী পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যানজটে আটকে পড়ে।
স্কুলছাত্রী মার্জিয়া মনসুর আর্শি জানায়, যানজটে রাস্তা পারাপারে খুবই সমস্যা হয়। অনেক সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা যেভাবে বাড়ছে তাতে কিছুদিন পর চলাচল করাই কঠিন হয়ে যাবে।
নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, অটো সমস্যা নাটোর পৌরসভার খুবই একটি গুরুতর সমস্যা। পৌরসভা থেকে কোনো ধরনের লাইসেন্স দিতে পারি না, যার জন্য অটো নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে বিআরটিএ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনÑসবার উদ্যোগে শহরে যাতে সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে অটো চলতে পারে এবং জনসাধারণও যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে প্রক্রিয়া চলমান। প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করে নাটোর শহর যানজটমুক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, অটো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অটোতে দুই-তিন ধরনের কালার করা হবে। তাতে নির্ধারণ করে দেওয়া হবেÑকিছু অটো শহরের অলিগলিতে চলবে, কিছু অটো শহরে চলবে। বিআরটিএকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।