Print Date & Time : 3 August 2025 Sunday 1:55 am

‘অতি দ্রুত’ দেশে টিকা তৈরির প্রস্তুতি চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ‘খুব দ্রুতই’ করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লক্ষ্যে প্রস্তুতির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এখন পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি ডোজ টিকার অর্ডার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে গতকাল বুধবার তিনি সংসদ অধিবেশনে বলেন, ‘আমরা শুধু ভ্যাকসিন আনছি না, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে।’

গত ১৭ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের সুপারিশ করে।

এরপর ২৬ আগস্টের বৈঠকে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে একটি পূর্ণ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়।

ওই বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের’ গবেষক সানজান কে দাস স্বাস্থ্য সচিবের কাছে সরকারি পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে অবকাঠামো তৈরি করার একটি প্রস্তাব পাঠান।

সানজান দাসের টিকা তৈরির প্রযুক্তির ‘আরএনডি’ ও ‘প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ হয়েছে বলে কার্যপত্রে বলা হয়।

এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘এসেনশিয়াল ড্রাগসের’ বিদ্যমান অবকাঠামোর সঙ্গে নতুন কিছু যন্ত্রপাতি কিনলে টিকা উৎপাদন সম্ভব বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিষয়টির কারিগরি দিক পর্যালোচনার বিষয়ে বিবেচনা করছে মন্ত্রণালয়।

সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল বুধবার সংসদে বলেন, এরই মধ্যে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। দেড় কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘চীন থেকে ছয় কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেখলাম এই টিকা আনতে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। টাকা যত লাগুক, প্রধানমন্ত্রী টিকা নিয়ে আসতে বলেছেন। আমরা কোভ্যাক্স থেকে পাঁচ কোটি টিকা পাব। সব মিলিয়ে ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে। ভ্যাকসিন গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।