Print Date & Time : 7 July 2025 Monday 5:40 am

অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সাকিব আল হাসান না থাকায় টেস্টে অধিনায়কত্বের ভার উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঘাড়ে। বাড়তি এ দায়িত্বে কি নুইয়ে পড়েছেন তিনি? গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমন একটা প্রশ্ন শোনার পর কিছুটা হাসেন এ অলরাউন্ডার। পরে বলেন, সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি; যা এবারও করছি।
বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্নটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দেখতেন ছোট শৈশব থেকেই, যা এরই মধ্যে পূরণও হয়েছে তার। যদিও যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবে হয়নি। মূল অধিনায়কের চোটে পেয়েছেন দায়িত্ব। এরপরও বাংলাদেশ অধিনায়ক তকমা তো গায়ে লেগেছে!
মাহমুদউল্লাহ ২০১১ সালে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান। সে সময় অবশ্য কোনো ম্যাচেই নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কের চেয়ে সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশি। সাকিব আল হাসানের চোটে বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচেও তিনি ছিলেন অধিনায়ক। এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজে টেস্টে নেই সাকিব। তাই আবারও টাইগারদের নেতৃত্বে সেই মাহমুদউল্লাহ। বাড়তি এ দায়িত্বকে রিয়াদ নিচ্ছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। একই সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগও দেখছেন এ ডানহাতি, ‘অধিনায়কত্ব সবসময় আমাকে ভালোভাবে নাড়া দেয়। দায়িত্বটা আমি সবসময় উপভোগ করার চেষ্টা করি। কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছি। দলের সবাই কমবেশি সাহায্য করে। এখন আমি ভালো খেলার অপেক্ষায় আছি।’
মাহমুদউল্লাহ ব্যাপারটি নিয়ে আরও বলেন, ‘এটা বলতে পারি যে, দায়িত্ব আমার খেলায় বড় প্রভাব ফেলে। আমাকে সেই চ্যালেঞ্জ দেয় যেন নিজের সেরাটা দলের জন্য দিতে পারি। অবশ্য আগে খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করতে হবে যে দলকে কীভাবে সার্ভিস দিচ্ছি। এটাও চিন্তা করি। পাশাপাশি দায়িত্বটা উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমার খেলায়ও সাহায্য করে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে বহুবার। অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে পেরেছেন যেমন, তেমনি মাঠে আগ্রাসী নেতৃত্বের প্রমাণ রেখেছেন অনেকবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার চাওয়া সেটি ধরে রাখা। একইসঙ্গে সতীর্থদের দিতে চান পূর্ণ স্বাধীনতা। যাতে দলের প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে সেরা নিতে পারেন, ‘আমি সবসময় ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা দিলে যে যার জায়গা থেকে পারফর্ম করার সুযোগটা বেশি থাকে।’