নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে দেশ থেকে পণ্য বিক্রয় ও অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ই-কমার্স হিসেবে বিবেচিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যে কোনো পরিমাণ অর্থের পণ্য ও সেবা বিক্রয় করা যাবে। একইভাবে ক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনেই অর্থ গ্রহণ করা যাবে।
এটি রপ্তানি হিসেবেই ধরা হবে। এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে থাকবে। স্থানীয় পর্যায়ের বিক্রেতারা টাকায় তা পরিবর্তন করতে পারবে। এতদিন পণ্যর ক্রয়াদেশ দিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে হতো। এখন থেকে পণ্য হাতে পাওয়ার পরও অর্থ পরিশোধ করা যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার মূল্যমানের পণ্য রপ্তানি করা যাবে অনলাইনের মাধ্যমে। অবশ্য এটি করতে হবে যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে। গতকাল এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকের নষ্ট হিসাবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আনা যাবে। কিন্তু নষ্ট হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার সময়ে অনলাইনে অর্থ পরিশোধকারী সংস্থা হলে তার অনুমোদন থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, এর মাধ্যমে ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য বিক্রয় সহজ হবে। এটি শিপ, আকাশ ও স্থল পথে রপ্তানির বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। এতে করে ব্যক্তি পর্যায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, যা ইকর্মাস হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশে।
জানা গেছে, এখন থেকে দেশের ই-কমার্স প্রাতিষ্ঠানগুলো ও ব্যক্তি পর্যায়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশি ক্রেতারা কোনো পণ্য কেনার জন্য ক্রয়াদেশ (অর্ডার) দিলে ভোক্তা পর্যায়ে (বিজনেস-টু-কনজিউমার) পণ্য সরবরাহের পর মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। এ ধরনের সরবরাহ ক্যাশ অন ডেলিভারি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া জাহাজীকরণের পর মূল্য পরিশোধের (পেমেন্ট অন শিপমেন্ট) শর্তেও বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
অর্থ পরিশোধে আন্তর্জাতিক কার্ডের পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও পরিশোধ করা যাবে। এসব হতে হবে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিতত। বেদেশে থাকা ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন সম্পন্ন করবে দেশীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত নীতিমালা হালনাগাদ করে যাচ্ছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খচরা পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম আরও জোরদার করতে নতুন নীতিমালাটি এডি ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে।