নিজস্ব প্রতিবেদন: কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বর্তমানে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের অনুমোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। তা থেকে আরও ২০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে কোম্পানিটি।
অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আগামী ৩১ জুলাই, বেলা ১১টায়, স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার, ১৩ লাভলেন, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ জুলাই।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৪১ টাকা ছয় পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
২০১৫ সালে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের সমান। এ সময় ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৩৬ পয়সা ও এনএভি ৪৫ টাকা ৬৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ২৪ পয়সা ও ৫৮ টাকা ৯৩ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ২৭ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
গতকাল তিন কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ৫৯ হাজার ৬২টি শেয়ার মোট ৫২৯ বার হাতবদল হয়। ওই দিন শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮০ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮১ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৬ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৬১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২৩ দশমিক ২২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ৯৮।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে আট পয়সা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ২৭ পয়সা যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৪৬ টাকা ৯৯ পয়সা। মুনাফা করেছে নয় কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা দুই পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৫১ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময় এনএভি হয়েছে ৩৯ টাকা ৫৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪১ টাকা ছয় পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে দুই টাকা ছয় পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৫ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।