নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করের মাধ্যমে এ টাকা ফেরত আনতে সরকার সুযোগ দিয়েছে। এর সুফল আমরা পেতে পারি। সুফল না পেলে সুযোগ উঠিয়ে নেয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কর প্রদানের মাধ্যমে পাচার হওয়ায় ফেরত আনার ঘোষণায় পাচারকারীরা আরও উৎসাহী হবে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘দেশের অনেক টাকা পাচার হয়েছে। অন্যান্য দেশে এই ধরনের সুযোগ দেয়া হয়। আমরাও দিচ্ছি।’
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ দেশের একটি মহল ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। তাদের বক্তব্য যদি সত্য ধরি, তবে ৭ শতাংশ কর দেয়ার মাধ্যমে কেউ টাকা নিয়ে এলে তো মির্জা সাহেবদের খুশি হওয়ার কথা। পাচারের অভিযোগ তুলবেন আর যখন টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেব, তখনও অভিযোগ করবেন সেটা তো দ্বিচারিতা।
ক্ষমতায় থাকাকালে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুবার কালোটাকা সাদা করেছেন বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। পাচারকারী হিসেবে আপনাদের বিশ্বরেকর্ড আছে।’
খালেদা জিয়ার নাম আওয়ামী লীগ নেতারা সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, আমরা উচ্চারণ করি বেগম খালিদা জিয়া। কিন্তু তারা (বিএনপি) বলে, হাসিনা। পঁচাত্তরের কথা বলে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা কখনও খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাস্তার ভাষায় সম্বোধন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑসভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।