নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়মে জড়িয়ে পড়া ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে আড়ালে চলে গেছেন। তাকে খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই হাউসের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা। তবে তাদের চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক।
তিনি জানিয়েছেন, এ হাউসটির বিনিয়োগকারীরদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীরা লিঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য যেকোনো ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন করতে পারবেন। গতকাল এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ফ্রিজ করা শেয়ারের বাইরে যদি পাওনা থাকে, তাহলে ট্রেক বিক্রি করে তা মেটানো হবে।
ডিএসইর এমডি বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ একটি পুরোনো প্রতিষ্ঠান। এ হাউসটির আর্থিক হিসাব খারাপ ছিল না। এমনকি মে মাসেও সমন্বিত আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল না। তারপরও অনাকাক্সিক্ষতভাবে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, যা সমাধানে ডিএসই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। পাওনা টাকা নিয়ে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হতে অনুরোধ করেন ডিএসইর এমডি।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই প্রতিনিধিসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, যারা হাউস কর্তৃপক্ষের লাপাত্তা হওয়ার কারণ উদ্ঘাটন করবে।
উল্লেখ্য, ক্রেস্ট সিকিউকিউটিজ অনেক পুরোনো ব্রোকারেজ হাউস, যার সনদ নং ৮। হাউসটির রাজধানীতে প্রধান কার্যালয়সহ আরও একটি শাখা এবং ঢাকার বাইরে কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে দুটি শাখা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের তথ্যমতে, হাউসের চারটি শাখায় ৩০ হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী রয়েছেন।
যদিও করোনা-পরবর্তীকালে হঠাৎ অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর পল্টনের প্রধান কার্যলয়সহ সব শাখায় একযোগে তালা লাগিয়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন মালিকপক্ষ। লাপাত্তা হওয়ার সময় হাতিয়ে নিয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।