নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে বিতর্কের অবসান ঘটেছে। ওয়্যারহাউসগুলো সফটওয়্যারে মদ বিক্রির তথ্য সন্নিবেশ (ইনপুট) করতে শুরু করেছে। তিন দিন ধরে ওয়্যারহাউসগুলো এনবিআরের তৈরি সফটওয়্যারে তথ্য দিতে শুরু করেছে, যা মনিটরিং করছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।
এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে শুল্ককর ফাঁকি রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন এনবিআর সংশ্লিষ্টরা। এর আগে দেশের ওয়্যারহাউসের শুল্কমুক্ত সুবিধার মদ বিক্রির হিসাব অনলাইনে দেয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে মদ বিক্রিতে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ককর ফাঁকি দেয়া হতো।
এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, তিন দিন ধরে সফটওয়্যারে ওয়্যারহাউসগুলো এন্ট্রি দেয়ার মাধ্যমে মদ বিক্রি শুরু করেছে। আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছি। এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
এনবিআর সূত্রমতে, ২০২১ সালের ২ জুলাই থেকে মদের ব্যবসা ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে এ বেআইনি ঘটনা বন্ধের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। কিন্তু যথারীতি এর বিরোধিতা করে আসছে ওয়্যারহাউসগুলো।
সফটওয়্যার ব্যবহার তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, এমন ঠুনকো যুক্তিতে তারা একটি মামলাও করে। এক তদন্তের মাধ্যমে এনবিআর এ অবৈধ বাণিজ্যের ওপর নতুনভাবে আলোকপাত করেছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, অ্যালকোহল আমদানিতে দেশে সর্বোচ্চ ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয়, যা অযৌক্তিকভাবে অনেক বেশি। এটি কেবল ওয়্যারহাউসগুলোকে চোরাকারবারিদের সঙ্গে অবৈধ ব্যবসায় জড়িত হতে উৎসাহিত করছে। পরে এনবিআর ছয়টি কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারীদের জন্য এ সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে। ওয়্যারহাউস ছয়টি শুল্কমুক্ত মাধ্যমে মদ আমদানি করে সেগুলো দেশের কূটনীতিক ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সরবরাহ করে থাকে।
বন্ডেড ওয়্যারহাউসগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা ওয়্যারহাউস লিমিটেড, ইস্টার্ন ডিপ্লোমেটিক সার্ভিসেস, এইচ কবির অ্যান্ড কো লিমিটেড, ন্যাশনাল ওয়্যারহাউস, সাবির ট্রেডার্স লিমিটেড এবং টিওএস বন্ড (প্রাইভেট) লিমিটেড।