অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠক শেষে করেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটা দলগুলোর নিজস্ব ব্যাপার। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছি। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সময়ে সরকার অবশ্যই নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হবে। তারা পুরোপুরি সচেতন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইইউর স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দলের প্রসঙ্গ টেনে শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতিনিধি দলটি ১৫ দিনে তাদের বাংলাদেশ মিশন শেষ করে গেছে। তারা ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারা তাদের সব তথ্য ব্রাসেলসে জমা দেবে। পরে ইইউ প্রধান সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কি পাঠাবেন না।

নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠালে সরকার স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সচেতন। আমরা নির্বাচনে পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা আসুক এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। আমরা এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোস্টিং কান্ট্রি হিসেবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক মানবাধিকার বিশেষ করে, রোহিঙ্গা প্রশ্নে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আলোচনায় এসেছে। ইইউর সঙ্গে আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কাজ করছি। তাদের একটা স্পেশাল রিকমেনডেশান আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে ইইউর যে ৫০ বছরের বলিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেই সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে আমরা সামনের দিনে এগিয়ে যেতে চাই। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইইউ থেকে জিএসপি প্লাস পাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউ এরইমধ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত আমাদের জন্য জিএসপি সুবিধা বাড়িয়েছে। সময়টা যেহেতু অনেক দিন আছে, আরও তিন বছর আমরা জিএসপি সুবিধা চেয়েছি। এটা হতে পারে নাও পারে।