অভিবাসী শ্রমিকরা যেন হয়রানির শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোনো ধরনের শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা যাতে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশে যায়, সেজন্য সরকার দেশে ৬৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও ছয়টি আইএমটি স্থাপন করেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বিদেশে গমনেচ্ছু যুবসমাজকে এসব সুযোগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ অতিমারি ও ভূ-রাজনৈতিক নানা কারণে অভিবাসন আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন ও সনদগুলোতে বর্ণিত বিধানাবলির যথাযথ প্রতিপালন আবশ্যক।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বব্যাপী উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক হারে অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে।