অভিযান স্থগিত: কেউ নেই কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানায় মিলেছে বিস্ফোরক

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, কুমিল্লা: কুমিল্লার কোটবাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনতলা ওই বাড়ির ভেতরে কয়েকটি বিস্ফোরক মিলেছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য অভিযান আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

এর আগে দুদিন ওই বাড়িটি ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সোয়াট ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’। গতকাল অপারেশন শেষে সন্ধ্যায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি শফিকুল ইসলাম অভিযান স্থগিত করার কথা জানান।

এদিকে সেখানে আনাছ ও রনি নামে দুজন ছিলেন এবং তারা বুধবার বিকালে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করার আগেই সেখান থেকে চলে যান বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চট্টগ্রামের মিরসরাই আস্তানা থেকে গ্রেফতারদের কাছ থেকে এ দুজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তাদের ছবিও আছে পুলিশের কাছে।

শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে ঘেরাও করে রাখা বাড়িটিতে শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সকালে অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে বাড়িটির কাছে গেলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়িটির দেয়াল ছিদ্র করে গ্যাস দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিকালের দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু তিনতলা বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে আনাছ বা রনি কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, তারা যে দুজনের খোঁজে সেখানে গিয়েছিলেন তাদের একজনের নাম আনাছ বা আনিস। তার বয়স ১৯ থেকে ২০, বাড়ি নোয়াখালী এলাকায়। তিনি গত পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ। আর অন্যজনের নাম রনি। তার বয়স ২২ থেকে ২৩। তিনি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য ছিলেন। এরপর নব্য জেএমবিতে যোগ দেন। রনিও গত পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা রাজশাহী এলাকায়।

এ দুজনের বিষয়ে কীভাবে তথ্য পাওয়া গেল জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে আটকদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বিষয়ে। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা কুমিল্লায় আসার পর বাড়িটি শনাক্ত করতে করতে বিকাল হয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই এই দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তিনি বলেন, বাড়িটিতে পাঁচ কেজি ওজনের দুটি বোমা, চারটি হাতে বানানো গ্রেনেড ও দুটি সুইসাইড ভেস্ট পওয়া গেছে।