শেয়ার বিজ ডেস্ক:চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বলেছে, দেশটির অর্থনীতি কিছু নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে। খবর: এনএইচকে।
কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্যরা গত সোমবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধের অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনের রাষ্ট্র-পরিচালিত শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি পলিটব্যুরোর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, অপর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং কিছু ব্যবসায়ী উদ্যোগের কারণে অর্থনীতি নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
অধিবাসীদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তা ব্যয় পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, তারা যানবাহন, বৈদ্যুতিক পণ্য ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রিতে সহায়তার পাশাপাশি পর্যটন এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, শূন্য কভিড নীতির অবসানের পর চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্থর হয়ে পড়েছে। এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় মাত্র শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় দেশটিতে বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারি এক হিসাবে দেখা গেছে, গত মাসে চীনে শহরের ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২১ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সরকারি আরেকটি তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে আর্থিক বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি প্রথম ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে, যদিও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বিশ্বজুড়ে চীনা পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
আবাসন খাত নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। পলিটব্যুরোর সদস্যরা এই খাতের জন্য স্থিতিশীল নীতি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর জোর দেন।
কর্মকর্তারা স্থানীয় সরকারগুলোর ঋণহার কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চান। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তারা।