শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, নীলফামারী: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নীলফামারীতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার শিকার বাঙালিদের ২৫টি গণকবর পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানি হানাদাররা নীলফামারী দখল করে নেয়। আর নীলফামারী হানাদারমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনতার দুর্বার প্রতিরোধের মাধ্যমে মুক্ত করেন জেলার ডিমলা, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুরসহ নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক জানান, ’৭১ সালে জেলার প্রায় দুই হাজার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। শহীদ হন ৭১ জনের বেশি। এছাড়া জেলায় গণকবরের (বধ্যভূমি) সংখ্যা ২৫টি। বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সংস্কার করা হয়েছে।
কিন্তু সবকটি বধ্যভূমি অযত্নে-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বছরের একদিন পরিষ্কার করা হলেও বাকি দিনগুলো পড়ে থাকে চরম অযত্নে আর অবহেলায়।
