Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 5:01 pm

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এফডিআই’র ভূমিকা

ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৫ সালে। অনুন্নত জাতি থেকে প্রথম দফায় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০১৮ সালের মার্চে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান শর্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি। আধুনিক বিশ্বে কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারি খাত অত্যন্ত ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বেসরকারি বিনিয়োগের মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রসারকল্পে সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন, আইন ও বিধিগত সংস্কার তথা সার্বিক বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে শতভাগ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ অথবা ইপিজেডে যৌথ বিনিয়োগ, অথবা এ এলাকার বাইরে বিনিয়োগ; স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাবলিক কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের ধারায় তালিকাভুক্ত বিনিয়োগ; অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ যেমন বিদ্যুৎ খাত, তেল, গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান, টেলিযোগাযোগ, বন্দর, সড়ক এবং জনপথে বৈদেশিক বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ২২টি খাতে কর রেয়াত দেয়া হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কাম্য রিজার্ভ সংরক্ষণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সর্বোপরি বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য আমেরিকা, লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে ব্যয়বহুল রোড-শো করা হয়েছে।

এফডিআই কী: এফডিআই হলো এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সরাসরি বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ওই কোম্পানির শেয়ার বা মালিকানা স্বত্ব কিনে নেয় এবং ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিদেশি উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা বা পুরোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে  ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে যে বিনিয়োগ করে, তাকে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই বলে। এর ফলে দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়, প্রকারান্তরে মানুষের আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে লক্ষ্যবস্তু অর্থনীতিতে সামগ্রিক উন্নতি ঘটে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানিগুলো তিনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। মূলধন হিসেবে নগদ বা শিল্পের যন্ত্রপাতি হিসেবে, বাংলাদেশে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা বিদেশে না নিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করে এবং কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। যে কোনোভাবে এ তিন পদ্ধতির দেশে বিনিয়োগ এলে তা এফডিআই হিসেবে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন খাতে মোট যে এফডিআই আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট অঙ্ককে নিট এফডিআই বলা হয়।

বৈদেশিক বিনিয়োগে সরকার কর্তৃক সুবিধা: আধুনিক যুগে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সব দেশই কোনো না কোনোভাবে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উঠছে এবং কোনো খাতেই পরিপূর্ণভাবে স্বাবলম্বী নয়, তাই আমাদের নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য টেক্সটাইল, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস দ্রব্য, রাসায়নিক ও পেট্রোকেমিক্যাল, কৃষিভিত্তিক শিল্প, কাঁচা পাট, কাগজ, রেশম শিল্প, হিমায়িত খাদ্য, পর্যটন, কৃষি, ক্ষুদ্রশিল্প, সফটওয়্যার ও ডেটা প্রসেসিংয়ের মতো রপ্তানিমুখী শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ভারী ও তথ্যপ্রযুক্তিশিল্প প্রতিষ্ঠায়ও বিদেশি বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যা দেশীয় আমদানি ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলোয় মামুন রশীদ এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সরকার সম্প্রতি কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এক. কর অব্যাহতি। সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু খাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুযোগ দিচ্ছে। দুই. আমদানি শুল্কে ছাড়। রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কোনো আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য নয়। সুনির্দিষ্ট প্ল্যান্ট, যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্কের অব্যাহতি রয়েছে। তিন. মূলধন প্রত্যাবাসন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কর প্রদানের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বিনিয়োগকৃত মূলধন, মুনাফা ও লভ্যাংশ পুরোপুরিভাবে প্রত্যাবাসন করতে পারেন। চার. প্রস্থান। যেকোনো সময় বিদেশি যেকোনো উদ্যোক্তা চাইলে আইনগত বিধি মেনে তার বিনিয়োগ উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আগে এ সুযোগ ছিল না, তবে এখন এ ধরনের নীতি গৃহীত হয়েছে। পাঁচ. শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ। বিধিমূলক নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নেয়ার সুযোগ আছে। একইভাবে ব্যক্তির ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত শেয়ার থেকে ক্যাপিটাল গেইনে কর অব্যাহতির পাশাপাশি কোম্পানি ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও নি¤œ সুদহার বিদ্যমান। তবে এগুলো শুধু কাগজ-কলমে থাকলে চলবে না, এগুলো কীভাবে বিদেশিদের অবগত করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারী শীর্ষ ১০ দেশ: বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকায় আছে ১৯৩টি দেশ। এই ১৯৩টি দেশের মধ্যে একশ’র অধিক দেশ বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ করে থাকে। ২০২২ সালে এর সংখ্যা ছিল ৬০-এর অধিক। বিনিয়োগকারী দেশগুলো থেকে ২০১০ সাল হতে ২০২২ পর্যন্ত মোট শীর্ষ ১০টি দেশের বিনিয়োগের পরিমাণ চিত্রলেখের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।

চিত্রলেখ-০১

 ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ১৩ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৬৩৮ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার। চিত্রলেখটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, একই সময়ে শীর্ষ ১০টি দেশের নিট বিনিয়োগ ছিল ২২ হাজার ১৫৮ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, যা নিট বিনিয়োগের ৭৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য (১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১০ শতাংশ)।  তৃতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুর (৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ)। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীন (৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ)। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস (৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ)। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে হংকং (৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ)। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে (৫ দশমিক ০৬ শতাংশ)। অষ্টম অবস্থানে রয়েছে ইন্ডিয়া (৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ)। নবম অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া (৩ দশমিক ৪১ শতাংশ)। দশম অবস্থানে রয়েছে জাপান (২ দশমিক ৭০ শতাংশ)।

খাতভিত্তিক নিট এফডিআই: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)। সেই হিসাবে সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে ২০২৬ সালে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ কতটুকু ভূমিকা রেখেছে, তার চিত্র তুলে ধরা হলো।

টেবিল-১

খাতভিত্তিক নিট এফডিআই

১৯৯৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত

(মিলিয়ন মার্কিন ডলার)

বছর ইকুইটি মূলধন    পুনর্বিনিয়োগকৃত আয়        আন্তঃকোম্পানি ঋণনিট এফডিআই

১৯৯৬       ৬৯.৬৩     ১২১.৬৫    ৪০.৩৩     ২৩১.৬১

১৯৯৭       ৩৩২.০৬  ১৬৩.৪৫   ৭৯.৭৮      ৫৭৫.২৯

১৯৯৮       ২৮০.৫১   ১৮৯.৮৮   ১০৫.০৭    ৫৭৫.৪৬

১৯৯৯       ১৩৭.৪৭    ৭৬.২৩     ৯৫.৪২      ৩০৯.১২

২০০০       ৩৫০.১৮   ৭৭.৭৭       ১৫০.৬৯   ৫৭৮.৬৪

২০০১       ২৩৩.৭৮   ৬৫.০১      ৫৫.৬৮    ৩৫৪.৪৭

২০০২       ১৩৩.৮১    ১১৬.৮২    ৭৭.৬৮     ৩২৮.৩১

২০০৩      ১৫৬.১৪    ১৭০.১৩    ২৩.৯৮     ৩৫০.২৫

২০০৪       ১৫৫.৮৯   ২৩৯.৭৯   ৬৪.৭২      ৪৬০.৪

২০০৫      ৪২৫.৫৯   ২৪৭.৪৮    ১৭২.১৯     ৮৪৫.২৬

২০০৬      ৫০৩.৬৫  ২৬৪.৭৪    ২৪.০৯      ৭৯২.৪৮

২০০৭       ৪০১.৬১    ২১৩.২৪    ৫১.৫১      ৬৬৬.৩৬

২০০৮      ৮০৯.২৫   ২৪৫.৭৩   ৩১.৩৩     ১০৮৬.৩১

২০০৯       ২১৮.৫৫   ৩৬৪.৯৪   ১১৬.৬৭    ৭০০.১৬

২০১০       ৫১৯.৯৮   ৩৬৪.৬২  ২৮.৭২      ৯১৩.৩২

২০১১        ৪৩১.৮৫   ৪৮৯.৬৩   ২১৪.৯       ১১৩৬.৩৮

২০১২       ৪৯৭.৬৩   ৫৮৭.৫৩  ২০৭.৪      ১২৯২.৫৬

২০১৩       ৫৪১.০৬   ৬৯৭.১১    ৩৬০.৯৯   ১৫৯৯.১৬

২০১৪       ২৮০.৩     ৯৮৮.৮১   ২৮২.১৭    ১৫৫১.২৮

২০১৫       ৬৯৬.৬৭  ১১৪৪.৭৪   ৩৯৩.৯৮   ২২৩৫.৩৯

২০১৬       ৯১১.৩৮    ১২১৫.৩৯  ২০৫.৯৫   ২৩৩২.৭২

২০১৭       ৫৩৮.৯     ১২৭৯.৪২  ৩৩৩.২৪   ২১৫১.৫৬

২০১৮       ১১২৪.১৩   ১৩০৯.১১  ১১৮০.০৬ ৩৬১৩.৩

২০১৯       ৮০৩.৭     ১৪৬৭.৩৫ ৬০২.৯     ২৮৭৩.৯৫

২০২০       ৮৪২.২৯   ১৫৬৬.১২ ১৫৫.১৭    ২৫৬৩.৫৮

২০২১       ১১৩৮.৭    ১৫৬২.২৭ ১৯৪.৫৯    ২৮৯৫.৫৬

২০২২       ১০২২.৬৩ ২৫১৪.৯৭  -৫৭.৬৫    ৩৪৭৯.৯৫

মোট ১৩৫৫৭.৩৪      ১৭৭৪৩.৯৩       ৫১৯১.৫৬ ৩৬৪৯২.৮৩

গড়   ৫০২.১২    ৬৫৭.১৮   ১৯২.২৮    ১৩৫১.৫৯

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক

টেবিল-০১ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৬ বছরে ইকুইটি মূলধন এসেছে ১৩ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার। গড় হিসাবে প্রতি বছর এসেছে ৫০২ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার। পুনর্বিনিয়োগকৃত আয় ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ বিনিয়োগ হিসেবে এসেছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৭৪৩ দশমিক ৯৩ এবং ৫ হাজার ১৯১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার। গড় হিসাবে প্রতি বছর এসেছে যথাক্রমে ৬৫৭ দশমিক ১৮ এবং ১৯২ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ডলার। সর্বমোট নিট এফডিআই ৩৬ হাজার ৪৯২ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার, গড়ে এসেছে ১ হাজার ৩৫১ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার। (বাকি অংশ আগামীকাল)

কর্মকর্তা

শরিয়াহ্ সেক্রেটারিয়েট

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

drmdgulammustafa@gmail.com