অর্ধশতাধিক মার্কিন কর্মকর্তার ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানের পিপল’স মুজাহিদিন অরগানাইজেশনকে (এমইকে) সমর্থন করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ৬১ কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে তেহরান। এমইকে-কে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে ইরান। খবর: রয়টার্স।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ৬১ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এমইকে ইচ্ছাকৃতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছেন তারা। এটিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে দেখে তেহরান।

প্রকাশ্যে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী সরকার উৎখাতের আহ্বান জানিয়ে আসছে সংগঠনটি এমইকে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেনÑযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু নেতা কেভিন মেকার্থি, সিনেটের টেড ক্রুজ ও কোরি বুকার।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিংকন ব্লুমফিল্ডও রয়েছেন।

তেহরানের দাবি, তালিকায় যাদের নাম এসেছে, তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এমইকে’র প্রতি সমর্থন জানায়।

ইসলামিক বিপ্লবের পর এই গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন নিয়ে নারী শিশুসহ অন্তত ১৭ হাজার নিরীহ ইরানের নাগরিককে হত্যা করেছে বলে দাবি ইরানের কর্তৃপক্ষের।

চলতি বছর এপ্রিলে সন্ত্রাসবাদ ও ইরানের জনগণের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ ব্যক্তি ও কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ইরান।

তখন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওবামা প্রশাসন তার শাসনামলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে আসে এবং নতুন করে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করে। তাদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান বাইডেন প্রশাসনও নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বড় করে।

এর আগে ইরানও দুবার যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা।