নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব প্রকল্প আমাদের একেবারে আশু শেষ করা প্রয়োজন আমরা সেগুলো দ্রুত শেষ করব। যেগুলো এখনই প্রয়োজন নয়, সেগুলো ধীরগতিতে হবে। আমরা অহেতুক টাকা ব্যয় করব না।
তিনি বলেন, যেগুলো আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আমরা করব। এভাবে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে। তাহলেই সারাবিশ্বের এই মন্দা আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে সব মানুষকে আমরা সুন্দর জীবন দিতে চাই।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমাদের সবাইকে কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে। কোনোভাবেই যেন আমরা কোনোকিছুতেই অতিরিক্ত ব্যয় না করি, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আপনি আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, ইংল্যান্ড বলেন প্রতিটি জায়গায় আজকে সেখানে তারা বিদ্যুৎ দিতে পারছে না, পানির ব্যবহার সীমিত করে দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। এমনকি ইউরোপের কোনো কোনো দেশ বলছে, গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। আগামী শীতে তারা কী করবে, সেটা নিয়ে তারা শঙ্কিত। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে আমাদের মতো দেশে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আগে থেকেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে, আর উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে নতুন শ্রমবাজার খোঁজার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে আমরা আমাদের শ্রমশক্তি পাঠাতে পারি, সেটাও খুঁজে দেখছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু নতুন নতুন জায়গা আমরা পেয়েছি।
দেশ-বিদেশের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবোটিক্সের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে দেশীয় আন্তর্জাতিক বাজারে যে ধরনের পরিবর্তন সূচিত হবে, তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে বিপুল শ্রমশক্তি রয়েছে, তাদের এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তাদের যুক্ত করতে হলে ট্রেনিং দিতে হবে, শিক্ষিত করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।