অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা জাপানের

শেয়ার বিজ ডেস্ক : অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে জাপান। দেশটি নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিক সংস্করণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এ অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আকাশ সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে। খবর: এনএইচকে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সোমবার এ অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা ও গঠন বৈশিষ্ট্য কেমন, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এমএসডিএফ তাদের এইজিস-যুক্ত ডেস্ট্রয়ারগুলোর একটি থেকে সফলভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালিয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের উপকূলের অদূরে অবস্থানরত এমএসডিএফ’র ডেস্ট্রয়ার ‘মায়া’ থেকে ‘স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৩ ব্লক-২এ’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। মাঝারি-পাল্লার যেকোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম এটি। ১০০ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় বাধা দিতে সক্ষম স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৩।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যৌথভাবে এ ‘এসএম-৩ ব্লক ২এ’ ক্ষেপণাস্ত্রটি উদ্ভাবন করে। প্রথমবারের মতো এমএসডিএফ’র কোনো ডেস্ট্রয়ার থেকে অ্যান্টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হল। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র এমন ছয়টি পরীক্ষা চালিয়েছিল, যার মধ্যে চারটি সফল হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি এ ধরনের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়াও। জাপানের মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পুরোপুরি কর্মক্ষম প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে তৈরি করতে পেরেছে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে জাপানের নামও যুক্ত হলো।

উল্লেখ্য, যৌথভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য প্রায় ১১ হাজার কোটি ইয়েন বা প্রায় ৭৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় আগাম রাডার বার্তা পাওয়া যাবে। এছাড়া এতে বাইরের স্থান পর্যবেক্ষণের জন্যও ডিজাইন করা হয়েছে।