অ্যামাজন দ্বিতীয় দফায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন দ্বিতীয় দফায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি গত সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে গত জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় অ্যামাজন। এ হিসেবে দুই দফায় মোট ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর: ইন্ডিয়া টুডে।

২০২২ সালের শেষ দিকে গুগল, মেটা, টুইটারসহ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই শুরু করে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢল শুরু হয়। সেই ঢল এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অর্থ, গণমাধ্যম, অটোমোটিভসহ আরও নানা খাত থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে। মূলত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বে শ্রমবাজার এখন অস্থিতিশীল। প্রায়ই বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইও করেছে।

বিশ্বে অ্যামাজনে প্রায় তিন লাখ করপোরেট কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে, যা মোট কর্মীর ৯ শতাংশ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।

এবার প্রতিষ্ঠানটির অত্যন্ত লাভজনক ক্লাউড ও বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। অ্যামাজনের স্ট্রিমিং ইউনিট টুইচ থেকেও কিছু কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

গত সপ্তাহে টুইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ড্যান ক্ল্যান্সির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম থেকে চার শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এ ৯ হাজার কর্মীর মধ্যে কাদের ছাঁটাই করা হবে, তা আগামী এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।

সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের উদ্দেশ করে একটি নোটে বলেছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে গুরুত্ব বিবেচনা করে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কয়েক মাস আগে যখন ছাঁটাই করা হয়েছিল, তখন কেন একসঙ্গে কাজটি করা হয়নি। এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, সব কটি বিভাগ তাদের কর্মী বিশ্লেষণ শেষ করতে পারেনি। আমরা এখন অনিশ্চিত অর্থনীতির ভেতর আছি, অদূর ভবিষ্যতেও তা বিদ্যমান থাকবে। এ কারণে আমরা ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।