নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যারামিট সিমেন্টের ইউনিট-২-এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে আগামী ১ জানুয়ারি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানিটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে ইউনিট-২-এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে।
অ্যারামিট ইউনিট-২-এর মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৪ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল ৫১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৫ টাকা ৪৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৫৬ পয়সা ও ১৬ টাকা ২২ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির তিন কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে আট লাখ ৫৭ হাজার ৬৫টি শেয়ার মোট ৭৭৭ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে দুই দশমিক ২২ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ২০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা পাঁচ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ১৪ টাকা ৩৩ পয়সা। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
কোম্পানিটির তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৭ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।