অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়ের বাজার বাড়ছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়ের বাজার ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ইউরোমনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী এই বাজারের আকার ছিল প্রায় ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ। গত বছর এই খাতে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। খবর: রয়টার্স।

অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়ের চাহিদা শুধু জানুয়ারিতেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বাস্থ্য সচেতন তরুণ প্রজন্মের অনেকে বছরজুড়ে অ্যালকোহল বর্জন করছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিশ্লেষক ও উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ থেক ৩৪ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অ্যালকোহল গ্রহণের হার গত দুই দশকে ৭২ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে নেমে গেছে, যারা অ্যালকোহল পান করেন, তারাও কম পরিমাণে পান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে শীর্ষস্থানীয় অ্যালকোহল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো অ্যালকোহলমুক্ত পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দিচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অ্যালকোহল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘দিয়াজো’ দুই বছর সময় ব্যয় করে তাদের ক্যাপ্টেন মরগান স্পাইসড গোল্ড রামের অ্যালকোহলমুক্ত সংস্করণ তৈরি করেছে। এমনকি বিখ্যাত ফরাসি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ আরেক ফরাসি ব্র্যান্ড ফ্রেঞ্চ ব্লুমে বিনিয়োগ করেছে, যা অ্যালকোহলমুক্ত স্পার্কলিং ওয়াইন তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় উৎপাদন কোম্পানিগুলোর মূল বিক্রিতে তেমন প্রভাব ফেলছে না। তথ্য, উপাত্ত ও বাজার পরিমাপ সংস্থা নিয়েলসেনের তথ্য অনুযায়ী, অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় কেনা ৯৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিকই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ও ক্রয় করেন। আবার অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়ের কর কম হওয়ায় এগুলো থেকে অধিক মুনাফা লাভ করা যায়। তবে অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিয়ার শিল্প এই খাতে সবচেয়ে উন্নত এবং অ্যালকোহলমুক্ত বিকল্পের ৮৯ শতাংশ বাজার দখল করে রয়েছে বিয়ার। ওয়াইন (মদ) ও স্পিরিটসের শেয়ার যথাক্রমে ৭ শতাংশ ও ৪ শতাংশ। জার্মানির ইথানলবিহীন পানীয়ের ব্র্যান্ড জেন্টল ওয়াইনের প্রতিষ্ঠাতা মরিটজ জাইরেভিৎসের মতে, বিয়ারশিল্প থেকে ২০ বছর পিছিয়ে রয়েছে ওয়াইন বা মদশিল্প।